পিচ্চি বউয়ের রোমান্টিক অত্যাচার শেষ পর্ব
ইসরাঃ ( সাদিয়ার দিকে তাকিয়ে) আপু!
সাদিয়াঃ রুবেল এতোক্ষণ যা যা বলেছে সব মিথ্যা..
ইসরাঃ ( মাথায় দুই পাশে হাত নিয়ে.. চেচিয়ে) আপনারা কি আমার সাথে নাটক করতে আসছেন
তাহিয়াঃ নাটক আমরা করতেছিনা নাটক তোমার বর আর রুবেল করতেছে..।
ইসরাঃ ছিহ রুবেল ভাইয়া. আপনি আপনাকে সত্যিই বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু আপনি আমার সাথে এটা করতে পারলেন ( আমাকে উদ্দেশ্য করে) আর তুমি! তুমি এটা করতে পারলা ( কথাটা বলেই ইসরা চলে যেতে লাগলো)
প্রিয়াঃ ইসরা দাড়াও...।
ইসরাঃ ( দাড়িয়ে আমাদের দিকে ফিরে) কি বলবেন আর। আমার সব কিছুই তো জানা হয়ে গেছে..☹
প্রিয়াঃ তুমি কিচ্ছু জানো নি..
ইসরাঃ মানে..
প্রিয়াঃ দেখো আসলে রুবেল ভাইয়া যা বলেছে তা পুরো টাই সত্য বিন্দু মাত্রও মিথ্যা বলে নাই..
ইসরাঃ আপনার কথা আমি কিচ্ছু বুঝতেছি না..
প্রিয়াঃ আসলে এটা আমাদের প্ল্যান. আমাদের বললে ভুল হবে কারণ এই বিষয়ে আরিয়ান আর রুবেল কিছুই জানে না। এখানে আসার সময় রাস্তায় আমি, তাহিয়া, আর সাদিয়া এই প্ল্যান টা করেছি.... দেখো এখানে আমি কারও পক্ষ নিচ্ছি না.. তবে হ্যাঁ রুবেল ঠিকি বলেছে আরিয়ান এর প্রতি তোমার বিশ্বাসটা খুবই অল্প।। দেখ রুবেলের মুখে কিছুক্ষণ আগে যেই কথা গুলু শোনেছো। তা শোনে তোমার মধ্যে আরিয়ান এর প্রতি কিছুটা বিশ্বাস জন্ম নিলেও তা আবার সাদিয়ার একটা কথাতেই উধাও হয়ে গিয়েছে আর এই জন্যই আমাদের এই প্ল্যান আসলে একটা সম্পর্কের মূল ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস.. একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই তোমাকে একটা কথাই বলবো। তুমি আগে আরিয়ান কে পুরুপুরি ভাবে বিশ্বাস করো তাহলেই তোমাদের বিবাহিত জীবন টা সুখের হবে। আসলে আমাদের মতো অনেক মেয়েই আছে যারা আরিয়ন কে পছন্দ করে। হ্যাঁ আমরা হয়তো এখন সত্যি এখন সত্যি টা বলে দিলে আরিয়ান কে তুমি আবার আপন করে নিবে কিন্তু এই যে এক টা অবিশ্বাস সেটা তোমার মধ্যে থেকেই যাবে। আর পরবর্তীতে আবার অন্য কোনো মেয়ে যদি আমাদের মতোই এই সেম ঘটনাটাই ঘটায়.. তাহলে তুমি আবার আরিয়ানকে কে অবিশ্বাস করবে.. আর আমি রিকুয়েষ্ট করব যেনো তুমি আরিয়ানকে পুরোপুরু ভাবে বিশ্বাস করো.. আর একটা কথাই বলতে চাই.. আরিয়ান তোমাকে সত্যি অনেক অনেক ভালোবাসে.. অকে কখনই অবিশ্বাস কইরো না.. এই কয়েকটা দিন আরিয়ান অনেক কষ্টে কাটিয়েছে। আর এই কষ্টের কারণ শুধু আমরা না। তুমি নিজেও, কারণ, তুমি আরিয়ান কে বিশ্বাস করতে পারছো না। আসলে আমরা যা করেছি তার জন্য আমরা সত্যিই খুব লজ্জিত.. আমাদের ক্ষমা করে দিও আর হে আরিয়ান কে নিয়ে ভালো থেকো..
( এই কথাগুলো বলেই তাহিয়া, প্রিয়া, সাদিয়া চলে যেতে লাগলো )
আমিঃ ( দৌড়ে ওদের কাছে গিয়ে) দুস্ত তোরা প্লিজ আমাকে মাফ করে দিস..আমি না বুঝে তোদের অনেক কষ্ট দিয়েছি। অনেক ঠকিয়েছি আমার এমন টা করা উচিৎ হয় নি, আমি এই বিষয় টার জন্য তোদের কাছে আবারও সরি বলতেছি..
তাহিয়াঃ এইই তুই আমাদের দুস্ত তাই না? আর তুই জানিস না, দুস্তের মধ্যে নো সরি, নো থ্যাংকস
আমিঃ হুম...
এর পর থেকেই শুরু হলো আমার আর ইসরার নতুন করে পথ চলা, এখন ইসরা আর আমাকে অবিশ্বাস করে না, আর আমিও ইসরাকে কখই কষ্ট দেই না...
৫ বছর পর......
আয়াত( আপনাদের ভাতিজি)ঃ আব্বু তুমি আমকে একটুও ভালোবাসো না...
আমিঃ আল্লাহ.. আমার আম্মুটা এসব কি বলতেছে..
আয়াতঃ হুম সত্যিই বলেছি.. তুমি সেই কবে থেকে বলতেছো তুমি আমাকে আর আম্মুকে নিয়ে কক্সবাজার যাবে কিন্তু গিয়েছো...?
আমিঃ আই এম সরি আম্মু.. আসলে অফিস থেকে ছুটি নিতে পারছি না.. অকে আমরা আগামী মাসেই কক্সবাজার যাবো এবার হেপি..
আয়াতঃ সত্যি তো..
আমিঃ হুম সত্যি..
১ মাস পর.....
কক্সবাজারে আজকে ঘুরতে এসেছি,
সারাদিন ঘুরেফিরে রাতে রিসোর্টে এসে বিশ্রাম করতেছি এমন সময়..।
আয়াতঃ আব্বু তোমার মোবাইলটা দাও তো..।
আমিঃ কেনো..
আয়াতঃ আমার জানু টাকে কল দিবো..
আমিঃ এএএএয়ে... তোমার আবার জানু কে..
আয়াতঃ অপু.. তোমার ফ্রেন্ড রুবেল আংকেলের ছেলে..
ইসরাঃ এইই আয়াত... তোমার প্রেম করার বয়স হইছে...
আয়াতঃ আজোব, এতো চেতো কেন.. আর অপু আমাকে অনেক বিশ্বাস করে তোমার মতো না আর আমিও অকে অনেক ভালোবাসি আমাদের ৩ মসের রিলেশন.
আল্লারে এই মাইয়ার এখন মাত্র ৪ বছর এর এখনি এতো কিছু.. ভাইরে যারা এখনও সিংগেল আছেন যান কচু গাছে ফা*স লইয়া ম*রেন গিয়া..
এভাবেই সারাজীবন কাটিয়ে দিতে চাই।সবাই আমার আর ইসরার জন্য দোয়া করবেন....
.
❤❤❤❤❤❤সমাপ্ত ❤❤❤❤❤❤