পিচ্চি বউয়ের রোমান্টিক অত্যাচার পর্ব ৭
রুবেলঃ আচ্ছা... শোন তুই টেনশন করিস না সব ঠিক হয়ে যাবে..
আমিঃ হুম..
তারপর সোজা ইসরাদের বাসায় চলে গেলাম কিন্তু ইসরাকে অনেকভাবে বুঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলাম.... উফফফ কিযে একটা ঝামেলায় ফেসে গেলাম.. ইসরার আম্মুর কাছেও বিষয়টি শেয়ার করলাম উনিও ইসরাকে বুঝিয়ে বললেন কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হলো না...
পরের দিন সকালে রুবেলের সাথে দেখা করলাম
আমিঃ দুস্ত ইসরা তো কিছুতেই আমার কথা বিশ্বাস করতেছে না...
রুবেলঃ আচ্ছা দাড়া। ওই হারা*মজাদি গুলারে উচিৎ শিক্ষা দিতেছি...
আমিঃ কিন্তু কিভাবে..
রুবেলঃ তুই শুধু আমার সাথে আয় বাকিটা আমি করতেছি..
তারপর রুবেল আমাকে নিয়ে সোজা তাহিয়াদের বাসায় চলে গেলো..।
তারপর তাহিয়াকে নিয়ে ওদের বাসার ছাদে গিয়ে
রুবেলঃ কিরে তুই আরিয়ার আর ইসরার মধ্যে ঝামেলা পাকাচ্ছিস কেনো..
তাহিয়াঃ ও আমাদের সাথে নাটক করলো কেন?
রুবেলঃ তাই বলে, তোরা ওর এতোবড়ো ক্ষতি করবি..
তাহিয়াঃ শবে মাত্র শুরু আরও অনেক কিছুই করবো..
রুবেলঃ ও আচ্ছা.. তা আমি চাইলে এখন কি করতে পারি সেটা তোকে দেখাবো..
তাহিয়াঃ তুই আমার কিচ্ছু করতে পারবি না.
রুবেলঃ অকে.. তাহলে তোর আব্বুকে গিয়ে এখন বলি যে তোর সাথে আমার ৩ বছরের রিলেশন..
তাহিয়াঃ আব্বু জিবনেও বিলিভ করবে না..
রুবেলঃ কেনো আরিয়ান, ইকবাল, সোহাগ, তারা বল্লেও বিলিভ করবে না?
তাহিয়াঃ রুবেইল্লা তুই কিন্তু বেশি বেশি করতেছিস ,
আমিঃ দুস্ত নিচে চল..
তাহিয়াঃ এইই প্লিজ তোরা এমনটা করিস না
কে শোনে কার কথা আমরা আমাদের মতো নিচে যাচ্ছি এইবার খে"লা হপ্পে মামু...
আমিঃ দুস্ত.. তাহিয়ার আব্বুকে কি সত্যি সত্যিই এই কথা বলবি নাকি..
রুবেলঃ আরে ধুর বা"টা একটু পাম মারলাম আরকি
আমিঃ.....
তারপর নিচে আসতেই....
তাহিয়ার আম্মুঃ ( খাবার টেবিলের উপর আপেল কমলা আরও অনেক কিছু এতোগুলা কইতে পারমু না) একি বাবা তোমরা চলে যাচ্ছো কেনো? একটু বসো...
রুবেলঃ না আন্টি অন্য একদিন আজকে একটু তাড়া আছে...।
আমিঃ ( রুবেল্লার কানের কাছে গিয়ে) অই হা*লার পো হা"লা কিসের তাড়া রে! চল আগে খাইয়া লই
রুবেলঃ ওই হারা"মজাদা তোর ল"জ্জা সরম বলতে কিছু নাই যার বাড়িতেই যাস খালি খা"ই খা"ই করিস..
তাহিয়ার আম্মুঃ কি বেপার তোমরা কানে কানে কি বলতেছো...
আমিঃ আন্টি কোনো তাড়া ( এতটুকু বলতেই রুবেইল্লার বিদঘুটে চাহনিতে "না" কইতে গিয়া "হা " কয়ালছি) আ আছে ( রাগে আর দুঃখের ঠেলায় আর একটা মুহুর্তও তাহিয়া দের বাসায় অবস্থান করিলাম না...
রাস্তায় হাটতে হাটতে.....
রুবেলঃ কিরে মন খারাপ করে আছিস কেনো?
আমিঃ হারা*মজাদা তুই আর কথা কইবি না
রুবেলঃ আচ্ছা এই তুই কি কখনই চেঞ্জ হবি না বড় হইছিস মাসাল্লাহ বিয়ে সাধিও করে ফেলছিস. এখনও কারো বাসায় গেলে কিছু সাধলেই খেতে বসে পরিস..
আমিঃ অই বড় হইছি তো কি হইছে? এখন কারও বাসায় খেলে কি মহাভারত অ"সুদ্ধ হয়ে যাবে..
রুবেলঃ ভাই ভুল হইছে.. তোরে আমার দারা কখনই কিছু বুঝানো সম্ভব না..
আমিঃ কেন! সম্ভব না কেন?
রুবেলঃ কারণ তোর টেলেন্ট আমার থেকেও বেশী..
আমিঃ ( যদিও জানি হারা"মজাদা পাম মারছে তাও একটু এক্সট্রা ভাব সাব লইয়া কইলাম) হুহ সেটা বল তা এখন কি করবো?
রুবেলঃ সাদিয়ার বাসায় যাবো ও হয়তো বাসাতেই আছে..।
তারপর সাদিয়াদের বাসার সামনে যেতেই.. I'am অবাক আরে ভাই সাদিয়া বাসার সামনে দাড়িয়ে আছে তাও নাকি আমাদের জন্যই..
সাদিয়াঃ রুবেল, আরিয়ান, আমি ইসরাকে বলে দেবো যে তোর সাথে আমার সত্যিই কোনো ধরনের সম্পর্ক ছিলো না...
আমিঃ ( টিশার্টের কলার উচু কইরা সেই লেবেলের ভাব লইয়া) কিরে আমার চাল দেখেই ভয় পেয়ে গেলি।।।
সাদিয়াঃ এএএহ আইছে.. চাপা*বাজ সব তো রুবেইল্লা ( রুবেল রাগ লইয়া তাকাইতেই) সরি রুবেল ভাইয়া করেছে...
আমিঃ হ্যাঁ অবশ্য এতে ওর ও কিছু অবদান আছে,
রুবেলঃ উফফ আরিয়ান, তুই থামবি।
আমিঃ অকে, থামলাম..
রুবেলঃ সাদিয়া, তুই তাহিয়া আর প্রিয়া কে নিয়ে রাজশাহী শিশু পার্কে আধা ঘণ্টার মধ্যে আসবি..
সাদিয়াঃ ওকে।
আমিঃ কিরে ইসরাতো আসতে চাইবে না। এখন কি করবো..
রুবেলঃ আগে পার্কে চল, তারপর সব ব্যবস্থা আমি করতেছি..
তারপর সোজা পার্কে....
পার্কে গিয়ে সেই লেবেলের ভাব লইয়া বইসা আছি..
রুবেলঃ তোর ফোন টা দে..।
আমিঃ কেনো।
রুবেলঃ ইসরাকে কে কল দিবো।
আমিঃ অহ নে..।
তারপর রুবেল আমার মোবাইল নিয়ে ইসরাকে কল দিলো। ওপাশ থেকে ইসরা কল রিসিভ করেঃ এইই তুমি কোন সাহসে আমাকে কল দিয়েছো?
রুবেলঃ জি আপনি এই মোবাইলের মালিকের স্ত্রী? ( ওমা হেইয়া কি কয়...)
ইসরাঃ জি.. কিন্তু আপনি কে, আর উনার মোবাইল আপনার কাছে কেন..
রুবেলঃ আমি যে ই হই আপনার সামী একটু আগেই শিশু পার্কের সামনে এক্সি*ডেন্ট করেছে উনাকে নিয়ে এখন আমরা রাজশাহী হসপিটালে যাচ্ছি আপনি ওখানেই চলে আসেন ( কল দিলো)
আমিঃ এএএএএ অই আমি এক্সি*ডেন্ট করছি তো এখানে কি আমার চুডু ভাই বইসা আছে..
রুবেলঃ আরে বা"টা রাগস কেন অন্য কথা বললে তো ইসরা আসতে চাইবে না তাই এটা বললাম..
ঠিক তখনই হারা*মজাদি গুলার আগমন..
রুবেলঃ তোরা চলে আসছিস ওকে চল হসপিটালে যাবো..।
প্রিয়াঃ সেকি! হসপিটালে কেনো?
রুবেলঃ যা বলতেছি তা কর
তারপর ৩ হারা*মজাদি রুবেলে আর আমি হসপিটালে পৌছানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই ইসরা কল দিলো।
রুবেলঃ আপু আপনি চলে আসছেন?
ইসরাঃ জি আপনারা কোথায়..।
রুবেলঃ ৩ তলার ৬ নাম্বার কেবিনে।
২ মিনিট পর....
ইসরাঃ আমার কাছে এসে আমার গালে হাত রেখে তু তুমি ঠিক আছো তো.. অর ২ চোখ দিয়ে বৃষ্টির মতো জল ঝড়ছে..
আমিঃ হুম..
ইসরাঃ রুবেল আর ৩ হারা*মজাদি গুলারে লক্ষ্য করা মাত্রই আপনারা.. তাহলে আমাকে কে কল দিয়েছিলেন
রুবেলঃ জি আমি..।
ইসরাঃ কিন্তু কেনো? আর এসব বলার মানে কি.
রুবেলঃ আচ্ছা আমরা আগে এখান থেকে বেড়োই, তারপর না হয় কথা বলি।
তারপর হসপিটালে থেকে বেড় হয়ে একটা শান্ত জায়গায় গিয়ে....
রুবেলঃ ইসরা, একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার মূল ভিত্তি কি জানো? বিশ্বাস, আর তোমার মধ্যে এই জিনিস টারই খুব অভাব, দেখো এই পৃথিবিতে আমরা কিছু ভুল করি, যেটা সুধ্রে নেওয়া যায়, আর কিছু ভুল কখনই সুধ্রানো যায় না , কারণ, সুধ্রে নেওয়ার সময় টাই যে থাকে না, আরিয়ান তোমাকে সত্যি সত্যিই অনেক লাভ করে, কিন্তু তুমি হইতো এই সন্দে*হর ঘোরে পড়ে, সেটা উপলব্ধি করতে পারো নি, দেখো একটা মানুষকে অনেকেই পছন্দ করবে, এটাই স্বাভাবিক, আর যখনই সেই পছন্দের মানুষ টা অন্য কারও হয়ে যায়, তখন ওই যে বাকি যারা সেই মানুষ টাকে পছন্দ করতো, তারা একটু জেলাস ফিল করে, আর অনেকে এই হিংসা সইতে না পেরে, অনেক ভুল কিছুই করে ফেলে, কিন্তু আমাদের সমস্যা টা কি যানো? আমরাও বোকার মতো ওই হিংসুটে লোকগুলার ফা"দে খুব সহজেই আটকে যাই। কারণ টা শুধু একটাই, আমরা আমাদের ভালোবাসার মানুষ টাকে, বিশ্বাস করতে পারি না, দেখ আরিয়ান এর কখনই সাদিয়া কেনো কোনো মেয়ের সাথেই কোনো ধরনের সম্পর্ক ছিলো না কারণ আমি ওর বেস্ট ফ্রেন্ড. ওর কোনো রিলেশন থাকলে পৃথিবীর আর কেউ না জানলেও অন্তত আমি ঠিকি জানতে পারতাম, তোমার হইতো আমার কথাগুলো বিশ্বাস নাও হতে পারে, তাই সাদিয়া, প্রিয়া, আর তাহিয়াকেও সাথে নিয়ে এসেছি, তুমি চাইলে ওদের কাছ থেকেই সত্যিটা জানতে পারো,
ইসরাঃ ( সাদিয়ার দিকে তাকিয়ে) আপু!
সাদিয়াঃ রুবেল এতোক্ষণ যা যা বলেছে সব মিথ্যা..
.
.
.
#চলবে....................???