পিচ্চি বউয়ের রোমান্টিক অত্যাচার পর্ব ৬ - নিবর অনুভূতি

শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

পিচ্চি বউয়ের রোমান্টিক অত্যাচার পর্ব ৬




ইসরাঃ( ঠা"স ঠু"স  কয়েকটা কি"ল, মা"ইরা  আমারে দুরে সরাইয়া দিয়া) কি কইলি তুই আমারে গরমে সময় অন্য রুমে রাখবি আমাকে ছুবি না বলে দিচ্ছি.... 

আমিঃ বাবুইই ঠান্ডা লাগছে তো...।


ইসরাঃ তো আমি কি করবো যা দুরে গিয়া ম**র..


আমিঃ ময়না পাখি আমি তো ওটা যাস্ট ফান করে বলছি.. 


ইসরাঃ তুই তোর ফান নিয়েই থাক আমাকে ছুবি না বলে দিচ্ছি...


( খাই*ছেরে  এখন কি করমু.. দুঃখের ঠে"লাই নিজেকেই নিজে  ব*কা দিতেছি হারা*মজাদা  বেশি বা*ল , পাক*নামি করতে গেছিলি কেন. এখন ঠান্ডায় ম*র )


ও মা মাগো কি ঠান্ডা...


ইসরার উল্টো পাশ হয়ে শুয়ে আছি..

কিছুক্ষণ পরপরই.. ইসরা আমাকে একেবারে নিষ্পাপ আর উষ্ণ ছোয়াই আমাকে পিছন দিক থেকে খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরলো.. এই অনূভুতিটা হয়তো কখনই  ভাষায় বা লিখে প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। এই সুখ, পৃথিবীর সকল সুখকেও হার মানাবে এ যেনো এক ভেজাল বিহীন ভালোবাসা আমিও ওর দিক ফিরে ওকে পরম আদরে জরিয়ে ধরে বললাম ভালোবাসি নিজের থেকেও বেশী.. ইসরাও পরম সুখে একেবারে নিষ্পাপ বাচ্চাদের মতো.. আমার বুকে মুখ লুকালো..


পরের দিন নাস্তা করেই সকাল সকাল ইসরার নানির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম. তারপর ওখানে পৌছে ইসরার নানির সাথে কিছুক্ষন সময় পার করেই ইসরাদের বাসায় চলে আসলাম...


দুপুরের খাবারের পর  সা*লীকাদের সাথে ঘুরতে বেড়োলাম.. বিকেলে বাসায় ফিরে রুমে গিয়ে দেখি ইসরা কা"ন্না  করতেছে..


আমিঃ ( ওর কাছে গিয়ে)  কি বেপার তোমার কি হইছে?


ইসরাঃ তুমি আমার সাথে এটা করতে পারলা..


আমিঃ আমি আবার কি করলাম 


ইসরাঃ তোমার অন্য কারোর সাথে সম্পর্ক ছিলো সেটা আমাকে বিয়ের আগে বললেই পারতা আমাকে কেন ঠকাইলা....


আমিঃ ইসরা তুমি এসব কি বলতেছো বিলিভ করো,  আমার কারোর সাথেই কোনো ধরনের সম্পর্ক ছিলো না.. আর এখনও নেই৷  আমি শুধু তোমাকেই ভালোবাসি....


ইসরাঃ না তুই মিথ্যা বল"তেছিস.. অই মেয়ের কাছে প্রমান ও আছে।।


আমিঃ কিহ.. কোন মেয়ে!  আর আমার তো কারো সাথে সম্পর্কই ছিলো   না...


ইসরাঃ তাহলে তাহিয়া কে....


আমিঃ তাহিয়া! কোন তাহিয়া..


ইসরাঃ সেটা তো তুমিই ভালো জানো বলছে কালকে তারা আমাদের সাথে মিট করবে..


আমিঃ ওকে বলো তাদের আসতে...


ইসরাঃ হুম। 


পরের দিন যথা সময়ে ইসরাকে নিয়ে তাহিয়াদের সাথে মিট করতে গেলাম.. ওদের বলা নির্দিষ্ট স্থানে  পৌছে যা দেখলাম তা দেখার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না..


আমিঃ সাদিয়া.. তাহিয়া.. তোরা


সাদিয়াঃ আমার কাছে এসে আমার গালে হাত রেখে.. বাবু তুমি আমার সাথে এমন কেন করতেছ..তুমি তো এমন ছিলে না.. তুমি তো বলেছিলে তুমি শুধু আমাকে ভালোবাসো তাহলে এখন কেন এমন করতেছ.. প্লিজ তুমি ফিরে এসো ( দু চোখের জল টলমল করছে)  আমি আর পারছি না তোমাকে ছাড়া থাকতে তুমি একটা বার আমার মনটা বোঝার চেষ্টা করো আমি না সত্যি তোমাকে ছাড়া খুব অসহায় তুমি জানো  এই কয়েকটা দিন আমার কিভাবে কেটেছে বিলিভ  করো তোমাকে ছাড়া আমি সত্যি ই ম*রে যাব প্লিজ তুমি আমারে আর দূরে সরে রাইখো না..


আমিঃ ( ওকে দুরে সরিয়ে দিয়ে)  সাদিয়া কি বলছিস তুই এসব পা*গল  হয়ে গেছিস নাকি দেখ আমার বিয়ে হয়ে গেছে আর তাছাড়া তোর সাথে তো আমার কখনোই রিলেশনশিপ হয় নাই...


তাহিয়াঃ আরিয়ান তুই এসব কি বলছিস সাদিয়ার সাথে তোর রিলেশনশিপ হয় নাই মানে চার বছরের রিলেশনশিপ তদের তুই এতটা বেই*মান  এতটা স্বা*র্থপর  ছি আরিয়ান আমি স্বপ্নেও ভাবি নাই.. 


আমিঃ এএএএই তোরা এসব কি বলতেছিস..মিথ্যা কথা বলতেছিস কেন..


প্রিয়াঃ মিথ্যা তো তুই বলতেছিস  আমরা শুধু শুধু মিথ্যা বলতে যাব কেন এতে আমাদের লাভটা কি? তুই ওকে যখন ভালোবাসিস নি তাহলে কেন শুধু শুধু ওর সাথে প্রতা*রণা  করলি.. কি ক্ষ"তি করেছিল ও তোর কেন করলি ওর সাথে এমন টা....


ইসরাঃ আমি সত্যিই তোমাকে অনেক বি"শ্বাস করতাম.. কিন্তু তুমি তার প্রতি"দান এভাবে দিবে আমি তা কখনো ক"ল্পনাও করি  নি.. কথাটা বলেই ইসরা চোখ মুচতে মুচতে চলে যেতে লাগলো.. 


আমিঃ পিছন থেকে দৌড়ে গিয়ে ওর হাত ধরে ইসরা প্লিজ তুমি যেও না.. বিলিভ করো ওরা মিথ্যা বলছে.. ওরা আমাকে ফাঁ"সাচ্ছে অন্তত তুমি আমাকে বিশ্বাস করো..


ইসরাঃ ওহ তাহলে এতগুলো মানুষ একসাথে মিথ্যা বলছে. দেখো আমি এখনো এতটা ছোট না যে কিছুই বুঝতে পারব না.. প্লিজ অন্তত আমাকে বাঁ"চতে তো দাও.. আমি তোমাকে ছাড়াই বাঁ"চতে শিখতে চাই..কথাটা বলেই ইসরা তার নিজের মতো করেই চলে গেল আর আমি ওর চলে যাওয়ার রস্তাটায়

অস*হায়ের মতো শুধু তাকিয়েই থাকলাম....


ইসরা চলে যাওয়ার পর...।


তাহিয়াঃ তা কেমন লাগলো আমাদের নাটকটা শোন নাটক শুধু তুই একা করতে পারিস না নাটক আমরাও করতে পারি...


ঠা..সসসসসস...আমি তাহিয়ার গালে থা*প্পর মা*রলাম...


আমিঃ ছি তোরা এতোটা নি*ষ্ঠুর আর আমি কিনা তদের বন্ধু ভাবতাম.. তোরা যে এমনটা আমার সাথে কখনো করতে পারবি আমি তা স্বপ্নেও ভাবি নাই..


সাদিয়াঃ এখন বুজতে পারছিস কাওকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে তাকে ঠ"কালে কতটা কষ্ট হয়...


আমিঃ হ্যাঁ.. আমি মানতেছি যে আমি তোদের সাথে যেটা করেছি সেটা একদমই ঠিক করি নাই কিন্তু আমার ভুলের জন্য তোরা ইসরাকে কেনো কষ্ট দিচ্ছিস ও তো তোদের কোনো ক্ষ"তি করে নাই..


তাহিয়াঃ কি বললি ইসরা আমাদের কোনো ক্ষ"তি করে নাই.. হাসালি রে এই পিচ্চিটার জন্যই তো যত ঝা"মেলা আমরা তোকে ভালোবাসতাম কিন্তু ও কোথা থেকে এসে হুট করেই তোকে আমাদের কাছ থেকে তোকে কেরে নিলো.. দেখ আমরা যেহেতু তোকে পাই নাই সো অন্য কেউ ও তোকে নিয়ে সুখি হতে পারবে না এটা আমাদের চে"লেঞ্জ.....


আমিঃ প্লিজ তোরা যতো ইচ্ছে আমাকে কষ্ট দে আমি একবারও কোনো ধরনের অভি"যোগ  করবো না কিন্তু ও তো ছোট ওকে তোরা কষ্ট দিস না  ( হাত জুর করে) প্লিজ.. 


প্রিয়াঃ আচ্ছা দোস্ত আমাদের একটু তারা আছে আমরা যাচ্ছি.. এই বলেই ওরা সবাই চলে গেল..


আর আমি অস*হায়ের  মত ওখানে থাকা একটা বেঞ্চে ধ"পাস  করে বসে পড়লাম। নিজের ভুল গুলো যে আমাকে একটা সময় এতোটা বি"পদের মুখে ফেলে দেবে আমি তা কখনোই ভাবিনি' বুকের ভেতর টা তীব্র যন্ত্র"ণায়  হাহাকার করছে নিজের ভুল গুলো আমার ভেতরটা ছাড় খাড় করে দিচ্ছে.আমি এখন কি করবো কোথায় যাবো কোথায় গেলে আমি ইসরাকে বিশ্বাস করাতে পারবো যে আমি শুধু ইসরাকে ভালোবাসি...


চোখের জল মুছতে মুছতে রুবেলকে  কল দিলাম.. 


রুবেলঃ ( রিসিভ করে)  কিরে বে"টা শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তো আমাদেরকে ভুলেই গেছিস তা কেমন আছিস..


আমিঃ কান্না করে দিয়ে.. দোস্ত আমি শে"ষ হয়ে গেছি নিঃস্ব হয়ে গেছি আমি প্লিজ তোরা আমাকে বাঁ*চা...


রুবেলঃ  আরে এই তোর কি হইছে আমাকে বলতো..


তারপর রুবেল কে সব খুলে বললাম..


রুবেলঃ ও এই কাহিনী আচ্ছা তুই টেনশন করিস না তুই এক কাজকর তুই এখন ইসরার কাছে যা ওকে সব বুঝিয়ে বল তারপর না মানলে আমরা দেখতেছি...


আমিঃ দোস্ত আমার কথা কখনোই বিশ্বাস করবে না..


রুবেলঃ আরে বে"টা বলে তো দেখ একবার..


আমিঃ অকে.. তাহলে রাখছি এখন।


রুবেলঃ আচ্ছা... শোন তুই টেন*শন করিস না সব ঠিক হয়ে যাবে..


আমিঃ হুম..


তারপর সোজা  ইসরাদের  বাসায় চলে গেলাম কিন্তু ইসরাকে অনেকভাবে বুঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলাম....

.

.

.

 #চলবে.....................???