সিনিয়র মেয়ে যখন আদুরে বউ পর্ব ১ - নিবর অনুভূতি

মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪

সিনিয়র মেয়ে যখন আদুরে বউ পর্ব ১



-- আইডির লেভেল কত?(আমি)

-- তিরাশি।(মেয়েটা)

আমি এবার দরজার কাছে এসে.....

-- হিহিহি আম্মু আমি এই বিয়েতে রাজী 

উপরক্ত ঘটনাটা জানতে নিম্নলিখিত পিচ্চি পণ্ডিতের পাস্টে আসেন......

প্রতিদিনের মতো আজও গেম খেলছি শীতলের দোকানে বসে,পাব্জি ব্যান তাই কি করার ফ্রি ফায়ার ধরেছি। বেশ হাল্কা খেলতে পারি। আমায় কেউ খেলাও নেয় না  আমাকে নাকি সবাই নুব বলে 

হঠাৎ একটা বাচ্ছা আমার ফোনের স্ক্রীনের সামনে উঁকি মেরে...

-- অভ্র ভাইয়া নুবের মতো খেলো কেন? ভালোভাবে খেলতে জানো না।(পিচ্চিটা)

আমি পিচ্চিটার দিকে একভাবে রাগী লুক দিয়ে তাকিয়ে রইলাম  খুব নিজেকে অসহায় মনে হচ্ছে আমাকে সবাই নুব বলে। কিন্তু কি করবো আমি তো পাব্জি প্লেয়ার ফ্রি ফায়ার কিভাবে খেলবো। 

পাশে রোমানও ফ্রি ফায়ার খেলছে, ও অনেক আগে থেকে খেলে, তাই আমি...

-- এ ভাই আমায় একটু র‍্যাংক পুশ করে দেনা।

রোমান এবার ভাব দেখিয়ে....

-- আবে ভাগ শালা, নুব ঠিক মতো কভারও তো দিতে পারিস না তোকে কিভাবে লবিতে নিয়ে আসবো।

আমি রোমানের দিকে তাকিয়ে.....

-- শালা কুত্তা দেখে নিস যেদিন পাব্জি ব্যাক করবে ইন্ডিয়ান সার্ভারে দেখিয়ে দেবো খেলা কাকে বলে 

রোমান এবার হেসেহেসে...

-- হ্যাঁ হ্যাঁ দেখাস।

আমি রোমানকে দেখে আরো রেগে গেলাম, ওয়েট হারামী দেখাচ্ছি মজা 

-- বলছি ভাই একটা চা বল আর একটা সিগারেট।

-- কেন? (রোমান)

-- কেন মানে তুই যে পিরো প্লেয়ার ফ্রি ফায়ারের তোর তো উচিত আমার মতো নুবকে খাওয়ানো কিছু।

রোমান এবার আমার দিকে তাকিয়ে একটু ভাব দেখিয়ে....

-- এই শীতল এই নুবটাকে একটা চা আর একটা সিগারেট দিয়ে দে, আর হ্যাঁ আমার খাতায় লেখে রাখিস।

শীতল এবার রেগে...

-- আগের খাতার ডিউ ক্লিয়ার কর নেক্সট ধার, মাগনাতে আর কিছু নেই।

সাথে সাথে আমি মুখ চেপে ওর দিকে তাকিয়ে হাসা শুরু করলাম, রোমান এবার আমতাআমতা করে....

-- আচ্ছা ঠিক আছে ঠিক আছে, পরে দিয়ে দেবো।

এটা বলেই লজ্জায় মাচা থেকে উঠে চলে গেলো।

আমি আবারো মোবাইলে মাথা গুঁজে গেমে মন দিলাম, ভালো খেলতে পারি না আমি, তবুও এই ম্যাচটা অনেক কষ্টে টপ টেনে নিয়ে এসেছে। হাতে বন্দুক নিয়ে ছুটছি আমি, হঠাৎ গোঁ গোঁ করে শব্দ হতে শুরু করলো, আমি তো ভাই ভয় পেয়ে গেলাম আমি মোবাইলের চারিদিকে তাকিয়ে দেখছি স্পিকারটা কি অটো হয়ে গেলো নাকি, আমি এবার গেমের ম্যাপের দিকে তাকিয়ে দেখছি লাল একটা জায়গায় আর সেখানেই আমি ছুটছি।

আমি এবার ভাবলাম লাল মানে কি? ব্লু থাকলে শুনেছি যে লুট পাওয়া বেশি তাহলে সিউর লাল থাকলে আরো বেশি লুট থাকবে।

হঠাৎ দেখছি আকাশ থেকে উল্কাবৃষ্টি পড়া শুরু হলো। এ বাবা এটা আবার কি? আমি মরে যাবো না তো  না না মরবো কেন? হয়তো উপর থেকে গানটান ফেলছে হয়তো।

আমি এবার স্ক্রিনের ভিউটা আকাশের দিকে করে দেখতে লাগলাম আমার দিকে কখন গান আসবে, হঠাৎ দেখলাম আমার চোখের সামনেই একটা উল্কাপিণ্ড পড়লো আর সাথে সাথে আমার মোবাইলের স্ক্রিনটা ১৯৭০ সালের টিভির মতো সাদাকালো হয়ে গেলো, যাহহহহ শালা এটা কি হলো? 

তারপরেই বুঝলাম আমার adam চাচা খতম টাটা বাই বাই হয়ে গেছে। 

ধুর ভালো লাগে না কিছু না, আমি হোম বাটনে ট্যাপ করে চুপচাপ কোলে হাত গুঁজে বসে আছি মোবাইল নিয়ে।

হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো এই বলে তুমি বুঝোনি আমি বলিনি কেন স্বপ্নে তুমি আসোনি আমার অভিমান।

সরি পুরো গানটা আপনাদের শোনাতে পারলাম না আম্মুর কল লেটে তুললে খবর আছে তাই আমি রিসিভ করতেই.....

-- এই তুই কোথায়??? (আম্মু)

-- এই তো চায়ের দোকানে কেন কি হয়সে? (আমি)

-- আরে কি হয়েছে মানে, তোকে বলেছিলাম না কাল আমার এক ফ্রেন্ডের মেয়ের বিয়ে।

-- তো কি হয়েছে তোমার ফ্রেন্ডের মেয়ের বিয়ে তো!

-- আরে তুই যাবি না!

-- জ্বি না, তুমি আর আব্বু চলে যাও।

-- বাবু তুইও চল না বাসায় তুই একা কিভাবে থাকবি বল।

-- বলছি না আমি যাবো না, বিয়ের বাড়ির ঘ্যানঘ্যান প্যানপ্যান শব্দ আমার বোর লাগে।

-- আচ্ছা তাহলে তোর আব্বুকেই বলি সেই পারবে।

আমি সাথে সাথে...

-- আরে আম্মু কি যা তা বলছো? আমি তোমার ছেলে হয়ে তোমার কথা শুনবো না, আমি এখনই যাচ্ছি। আমি তো অবশ্যই বিয়ে বাড়িতে যাবো। না গেলে কি হয় তোমার ফ্রেন্ডের মেয়ের বিয়ে বলে কথা।

-- আচ্ছা চলে আয়,টুট টুট.....

ফোনটা এবার কেটে দিলো।

আমি মাচা থেকে নেমে রাস্তায় হাঁটতে শুরু করলাম।

আসলে কি জানেন তো সত্যিই আমার বিয়ে বাড়ি ভালো লাগে না, শালা কেন জানিনা!

আচ্ছা এই ফাঁকা টাইম আমার ইন্ট্রোটা দিয়েই ফেলি, আমি অভ্রনীল, আমার স্টাডি করি আমার বেসিক কোর্স চলছে।

আমায় প্রায় সবাই পিচ্চি পণ্ডিত নামেই জানেন। আর কিছু জানতে চাইলে সোজা রকেট নিয়ে আমার প্রোফাইলে পাড়ি দেন। আর হ্যাঁ ভাড়াটাও আমি দেবো হিহিহি শুধুমাত্র আপনি ফ্রেন্ড রিকু সেন্ট করে একটা ম্যাসেজ দিয়েন ব্যাস আপনার কেশ খতম 

আমি এবার বাসায় চলে এলাম।

বাসায় এসে চেঞ্জ করে সবাই একসাথে পৌছালাম আম্মুর ফ্রেন্ডের বাসায়। বাসায় যেতেই দেখি বাহ বাসাটা বেশ সাজানো গোছানো।

রাস্তায় আসতে আসতে শুনলাম আম্মুর ওটা শুধু ফ্রেন্ড না বেস্টফ্রেন্ড।

আমরা বাসার দরজায় দাঁড়িয়ে আছি, দেখলাম কে যেন এসে আম্মুকে জড়িয়ে ধরে খুশিতে মেতে উঠলো, আমি কপালে চুলকে মনে মনে....

-- শালা কি প্যারা? একটু পানী টানি দেবে কোথায় জড়িয়ে ধরে ব বসে আছে।

আম্মুকে ছেড়ে আম্মুর বেস্টি আমার দিকে তাকাতেই.....

-- লিমা আমার ছেলে অভ্রনীল।

সাথে সাথে আন্টি আমার গালে হাত দিয়ে.....

-- ওমা কি সুইট একটা ছেলে।

এটা বলে আমায় জড়িয়ে ধরে একটা কিস দিলো গালে, আমি সাথে সাথে মুছে নিলাম আন্টর সামনে, ইশশশশ ছি 

আম্মু আমার দিকে তাকিয়ে রাগী লুক দিলো 

আমি কিছু না বলে সোজা বাইরে দিকে চলে এলাম।

একটা ফাঁকা জায়গায় বসে গেম খেলতে শুরু করে দিলাম।

আমার এম এখন একজন পিরো হওয়া সবাইকে দেখিয়ে দেবো আমিও খেলতে পারি।

বিয়ের সময়ও আমি রুমে বসে গেমই খেলছি। হঠাৎ আব্বুর কল এলো, আমার বাসার শের, তাই গেম ছেড়েই আমি রিসিভ করে...

-- হ্যাঁ আব্বু বলো। (আমি)

-- কোথায় তুই? (আব্বু গম্ভীর হয়ে)

-- জ্বি জ্বি জ্বি রুমে, কেকেকেন?

-- বাইরে আয়।

-- ওকে আব্বু।

আমি এবার ফোনটা পকেটে পুড়ে সোজা বাইরে এলাম, কি হলোরে ভাই, সবাই তো এতোক্ষন চিৎকার চেঁচামেচি করছিলো এখন সবাই চুপচাপ কেন?

আমি আব্বু আম্মুর পাশে গেলাম আর মাথা নিচু করে.....

-- জ্বি আব্বু বলো।

আব্বু এবার আমার মাথায় হাত দিয়ে......

-- আমার ছেলের সাথে লিমার মেয়ের বিয়ে হবে, সবাই শান্ত হয়ে বসুন।

আমি শুনেই অবাক  আমি সাথে সাথে আম্মুর কাছে গিয়ে....

-- আম্মু কি হচ্ছে এসব।  (আমি চুপিচুপি)

-- লিমার মেয়ের বর এই বিয়ে করতে চাই না।(আম্মু)

আমিও রাগী লুক দিয়ে.....

-- আমিও করতে চাই না এসব প্যারা মানে বিয়ে।

কিরে ভাই আমি চিনিনা জানিনা তাকে কেন বিয়ে করতে যাবো। 

আমি আরো রেগে....

-- আমি তোমাদের সাথে একা রুমে গিয়ে কথা বলতে চাই 

এটা আব্বু শুনতে পেয়েই.....

-- আমি তোমার সাথে কোনো পরামর্শ কর‍তে ইচ্ছুক না, আমি যা বলছি তাই হবে।

আমি আব্বুর কথায় ভয় পেয়ে মাথা নীচু করে...

-- ওকে আব্বু।

এটা বলেই নীচের দিকে তাকিয়ে রইলাম, শালা খুব রাগ হচ্ছে, কোথায় ভেবেছিলাম লকডাউনের আগে তো কলেজ গিয়ে কিছুই করতে পারলাম না এবার কলেজ ওপেন করলেই একটা প্রেম করবো, নাহ শালা এই ফুটো কলসি কপালে প্রেম শব্দটাই লেখা নেই 

এই বিয়ে যেভাবেই হোক আমায় ভাঙাতে হবে, আইডিয়া।

আমি যদি আব্বুকে মানিয়ে ওই মেয়ের কাছে গিয়ে ওর মুখ থেকেই না বলাই তাহলে.....

-- আব্বু তুমি যদি চাও আমি মেয়ের সাথে একবার কথা বলে আসি সে এই বিয়েতে রাজী কিনা তারও তো একটা মতামত জানা উচিত নাকি? 

-- আচ্ছা যাও।

আমায় এবার মেয়ের রুমের সামনে আব্বু আম্মু আর আম্মুর বেস্টি নিয়ে এলো।

আমি আবারো আম্মুর হাত ধরে....

-- আম্মু আমি বিয়ে করলে খাওয়াবো কি? আমার তো এই সবে মাত্র ২০ বছর বয়স, আমাকে এখনো সবাই পিচ্চি পণ্ডিত নামে ডাকে।

-- ওসব তোমায় ভাবতে হবে না, আমাদের বিজনেসে তিনজনের খাবার জুটছে আর এক জনের জুটবে না বুঝি। তুমি বিয়ে করো তারপর তুমি বিজনেসের হাল ধরবে আমি একটু শান্তি চাই এবার।

আমি আবারো মাথা নিচু করে....

-- ধ্যাত, আচ্ছা আম্মু আমি তো মেয়ের বিষয়ে কিছুই জানিনা তাহলে কিভাবে বিয়ে করবো? 

কোথা থেকে যেন আম্মুর বেস্টি লিমা আন্টি এসে....

-- আমার মেয়ের নাম দিয়া, গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছে মাত্র এই বছর।

আমি সাথে সাথে আম্মুর থেকে কিছুটা দূরে এসে....

-- আম্মু এ হতে পারে না, এ কখনোই হতে পারে না।

-- কেন বাবা?

শালা আমি এমন ভাবে বলছি যেন কোনো সিরিয়ালের শুটিং এর জন্য অডিশন চলছে। 

মিউজিক, এই সরি এটা তো সিরিয়াল না এটা বাস্তব।

-- আম্মু মেয়েটা আমার থেকে সিনিয়র। 

আব্বু আবারো...  

-- এই সিনিয়র তো কি হয়েছে? প্রিয়াঙ্কা চোপড়া একটা জুনিয়র ছেলেকে বিয়ে করেছে তো তাদের কি কোনো প্রব্লেম হয়েছে?

-- আব্বু আমাদের মাঝে সেলিব্রিটি কেন? 

বুঝছি এদের সাথে বকে লাভ নেই, তাই একটা লম্বা নিশ্বাস ফেলে...

-- ওকে আমি ভেতরে গেলাম।

আমি রুমের ভেতরে ঢুককেই মেয়েটার সব ফ্রেন্ডগুলো বাইরে চলে এলো।

মেয়েটা ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে আছে মাথা নীচু করে।

লাল একটা বেনারসি পড়েছে, নিশ্চয় খুব সুন্দরী হবেন।

এই অভ্র ও সুন্দরী হবে তো তোর কিরে, শালা তুই বিয়ে ভাঙাতে আসছিস সেটা করেই চলে যা।

আমি এবার হাল্কা কেশে ওর দিকে এগোলাল, কিছু পা এগিয়ে...

-- উহুহুহু সবটাই তো জেনে গেছেন অলরেডি.... (আমি)

-- জ্বি। (দিয়া)

-- তোহ আমাকে কি বিয়ে করতে আপনি ইচ্ছুক?

-- জ্বি।

যাহ শালা ভেবেছিলাম মেয়েটাতো অন্তত না করবে না আমাকেই কিছু করতে হবে।

-- আচ্ছা শুনুন, আমি না খুব বাজে ছেলে

-- হুম ঠিক আছে অসুবিধা নেই 

-- না না আমি আরো বেশি বাজে ছেলে।

-- সমস্যা নেই মানিয়ে নেবো।

-- আরে আমি অনেক প্রেম করেছি অনেক মেয়ের সাথে এখনো আমার রিলেশন আছে  

-- ক্ষতি নেই ব্রেকাপ করিয়ে নেবো।

-- আমি না প্রতিরাতে বাসায় মেয়ে নিয়ে আসি।

-- বৌ থাকলে নিয়ে আসার কোনো অপশনই থাকবে না।

শালা এতো ভারী মহা মুশকিল না একে সত্যি কথাটাই জানাতে হবে

-- আমি না আপনাকে বিয়ে করতে পারবো......

পুরো কথাটা বলতে না দিয়েই মেয়েটা ফোনটা কানে তুলে....

-- ওয়েট প্লিজ, হ্যাঁ দোস্ত বল...  নারে দোস্ত আজ আমার বিয়ে, খুব সমস্যায় আছি গেমে ঢুকতে পারবো না। ওহ হ্যাঁ রাতে ফ্রি ফায়ার ইভেন্ট গুলো কমপ্লিট করে নেবো।

আমি শুনেই অবাক মেয়েটা ফ্রি ফায়ার খেলে 

আমি এবার ঢোক গিলে খুশিতে......

-- আপনি ফ্রি ফায়ার খেলেন?

-- জ্বি। 

-- আইডির লেভেল কতো? (আমি)

-- তিরাশি। (মেয়েটা)

আমি তো শুনেই অবাক, শালা এতো পিরো প্লেয়ার।না মিস করা যাবে না তাই সাথে সাথে আমি দরজার ফাঁকে বেড়ালের মতো মুখ বাড়িয়ে...

-- আমি রাজী এই বিয়েতে।

শালা কি হবে কি জানি, মেয়েটার মুখ পর্যন্ত দেখা হয়নি, শালা রোমান এবার তোকে দেখাবো মজা  পিরো প্লেয়ারের সাথে খেলে আমি দুদিনে জ্ঞানপ্লেন র‍্যাংকে উঠে বসে থাকবো 

র‍্যাংকের নামটা ঠিক বললাম তো?

কি জানি যা বটে বটে?

বিয়েটা সম্পন্ন হলো, আজ আমাদের বাসররাত।

আমি একটু রাতের দিকে রুমে ঢুকলাম। রুমের সামনে আসতেই মনে একটা ফুর্তি এলো, এখনই আমার নববধূ আমায় এসে সালাম করবে, আহা আলাদাই সুখ। 

আমি হাল্কা হাল্কা করে এগিয়ে যাচ্ছি হঠাৎ মাথা উঁচু করে দেখলাম বৌ গেম খেলছে, রুমে আমার উপস্থিতি টের পেতেই ফোটা বিছানায় নামিয়ে দৌড়ে আমায় সালাম করে আবার বিছানায় উঠে গেলো ফোনটা কোলে নিয়ে।

বাই দা ওয়ে আমি কিন্তু শুধুমাত্র বিয়ে করেছি গেমের জন্য, সংসার করার জন্য না। আর চাপের মধ্যেই আমায় বিয়েটা করতে হয়েছে।

আমি এবার দিয়ার পাশে যেতেই....