বেস্টুর প্রেমে - রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প পর্ব ২ - নিবর অনুভূতি

মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০২৪

বেস্টুর প্রেমে - রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প পর্ব ২



পুতুল আমার ক্লাশমেট,, কদিন আগে আমাকে প্রপোজ করে ছিলো,,আর আমি না করে দেই,,

কিন্তু ও চিল্লাচ্ছে কেনো,,

ক্লাশে ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম,পুতুল আর আমি ছারা কেউ নেই,,

কিন্তু দরজা আটকানো কেনো,,,

আমি তো সব খুলে দিয়েছিলাম,,,

পুতুল বাচাও বাচাও বলে চিৎকার দিচ্ছে,,

তারপর তার নিজ হাত দিয়ে, শরিলের কয়েক জায়গার জামা ছিরলো,,

.

আমিঃএই পুতুল, পাগল হলে নাকি,, কি হোয়েছে,,

.

পুতুল চিৎকার দিতেই লাগলো,,

আমি উঠে ওর কাছে যেতেই, পুতুল দরজা খুলে বাহিরে বের হোয়ে গেলো,আমি পিছন পিছন বের হলাম,

বহিরে বের হোয়েতো আমি অবাক,, কারন,,

সকল ছাএছাএী বাহীরে দারিয়ে আছে,,,,বির জমিয়েছে

.

পুতুল কান্না করছে, আর কিছু মেয়ে তাকে শান্তনা দিচ্ছে,,

.

আমি কোনো আগা মাথা না বুঝতে পেরে জিগাসা করলাম,,,

কি হোয়েছে ,,

.

কিছু মেয়েঃজানস না, কি হোয়েছে,,,

পাস থেকে কিছু ছাএঃ এখন শাধু সাজা হচ্ছে,,,

.

চারদিক থেকে নানা রকম, অপমান জনক কথা শুনতে পেলাম,,,

.

পিন্সিপালের রুমে ডাক পরলো,,

পিন্সিপালের কথা শুনে মাথায় বাড়ি পরার মতো অবস্থা,,

.

পিন্সিপালঃজনি, তোমার মতো একটা ছেলের কাছ থেকে আমি এসব আশা করিনি,,

আমিঃকি করেছি স্যার আমি।

পিন্সিপালঃআবার সাধু সাজা হচ্ছে,,তুমি পুতুলকে দরজা আটকিয়ে ওর ইজ্জত কেরে নিতে চেয়েছো,,

আমিঃ না স্যার, আমি এরকম কিছুই করিনি,,

স্যারঃস্যাট আপ,, কাল এসে টিসি নিয়ে যাবে,,

আমিঃনা সার এরকম করবেন না,, সার একটু দয়া করুন,,

.

স্যারের হাত পা দরে টিসির হাত থেকে মাপ পেলাম,,

.

স্যারের রুম থেকে বের হোতেই দেখি, পুতুল সহ আরো অনেকে দারিয়ে আছে,,সাথে সারমিন ও,,

আমি ওর সামনে গিয়ে দারালাম,,

তারপর বললাম,,

আমিঃ বিশ্বাষ কর, আমি এরকম কিছুই করিনি,,

একথা বলতেই, সারমিন,

থাসস থাসসসস করে,দুটো থাপ্পর মারলো, আমার গালে,

তার পর বলা শুরু করলো,,তোর মতো একটা চরিএ হীন ছেলে আমার বন্ধু, ভাবতেও ঘৃনা লাগে আমার,,

তোর মতো নর্দমার কৃটকে বিশ্বাষ করা যায়না, কবে না আবার আমার শরিলে হাত দেস,,চোখের সামনে থেকে সর ছোট লোক কোথাকার,,

.

ওর কথা গুলো সোজা বুকে এসে বিদলো,,চোখের কোনে পানি এসে বির করলো,,

বাঙ্গা গলায় শুধু এতটুকু বললাম,,খুব ভালোবাসিরে তোকে,, তুই এইভাবে বলতে পারলি,,

কান্না চোলে আসলো,, তাই আর কিছু না বলে চোখের পানি লুকাতে ব্যাস্ত হোয়ে গেলাম,,.

রাস্তায় হাটছি,,,নিজেকে কেমন মাতাল মাতাল লাগছে,,

আমি কি নেশাটেশা করলাম নাকি,,

নাতো, আমিতো সিগারেট পর্যন্ত খাইনা,,তাহলে আমার সাথে আজ যা ঘটলো, সব সত্যি,,,

পুতুলের সাথে তো কোনো শত্রুতা নেই আমার,, ও তো আমাকে ভালোবাসে তাহলে এমন করলো কেনো,,,,

.

আজ দু দিন কলেজের যাই না,, ভড্ড দেখতে ইচ্ছে করে সারমিন পাগলিটাকে,,

.

কোন মুখে কলেজে জাবো,,

যেখানে সবার কাছে আমি একটা চরিএহীন ছেলে,, ভালোর দাম নেই, আজ বুঝলাম,,,

.

তিন দিন পর,সন্ধার আগ আগ মুহুর্থ হবে,, ছন্নছারার মতো হাটছি,,

,আজো ঠিক একই শব্দ পাচ্ছি,

বাচাও বাচাও করে কেউ চিৎকার দিচ্ছে,,

শব্দটা কেমন চেনা চেনা মনে হচ্ছে,,,

দৌরে টং দোকানের পাসে গেলাম,,

হালকা অন্ধকারে বেস বুঝা যাচ্ছে,, তিন জন ছেলে একটা মেয়ের ইজ্জত ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে,,,

.

আরেকটু কাছে গিয়ে যাকে দেখলাম তাকে দেখে তো আমি অবাক,,

এযে পুতুল,,

ওকে কি বাচাবো নাকি চোলে যাবো,,,,ওতো আমার জীবন দুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে,,

একবার ভাবলাম চোলে যাই তার পর ভাবলাম না,,

এযে আমার নৈতিকতার দ্বায়ীত্য হোয়ে দারিয়েছে,,,

.

একা তো আর পারবো না,, তাই পাস থেকে ঘুনে দরা একটা বাশ নিলাম,,

.

দুটোর মাথায় দুটো বারি দিতেই যায়গায়ই অজ্ঞান,

বাকি যে ছিলো,,সেতো ভয় পেয়ে দৌর দিতে চেয়েছিলো,,লেং মেরে ফেলে দিলাম, ছেলেটার হাত দরতেই কোথা থেকে যেনো চাকু বের করে হাতে এক টান মেরে চোলে গেলো,, হাত বেয়ে রক্ত পরতে লাগলো,,কোনো রকম হাত চেপে পুতুলের কাছে গেলাম,

ভয়ে মেয়েটা জরোশরো,, হোয়ে আছে,,সেদিন তো ইচ্ছে করে জামা ছিরে ছিলো,আজ বেস কয়েক জায়গায়ই জামা ছেরা,,

আমার গা থেকে জেকেটটা পুতুলের গায়ে পরিয়ে দিলাম,,,

আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে,,,

.

আমার হাতের দিকে তাকিয়ে বললো,,জনি তোমার হাত থেকেতো রক্ত পরছে,,প্লিজ হাতটা এদিকে দেও,,,

আমিঃহাতে আর কি রক্ত ঝরছে,,,তার থেকে বেসি তো বুকে ঝরছে,,,

.

আচ্ছা সেদিন কি আমি তোমার গায়ে হাত দিয়েছিলাম,,

পুতুলঃনা,,আমি সত্যিই সরি,,

আমিঃকেনো করেছিলে এমন,,তুমি তো আমাকে ভালোবাসতে,,

পুতুলঃএখনো বাসি,তুমি আমাকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর তোমার উপর একটু জিদ চেপে ছিলো,,তারপর সেদিন সারমিন কে তোমার কোলে দেখে আমার জিদ আর দরে রাখতে পারিনি,, তার পরের দিন ক্লাসে গিয়ে তোমাকে ঘুমাতে দেখে ওমন অভিনয় করলাম,যাতে তোমাকে নিজের করে পেতে পারি,,

.

আমিঃতুমি তো জানোই আমি সারমিন কে ভালোবাসি,, আগেই বলেছিলাম,,,চাইলে বেস্ট ফ্রেন্ড হোতে পারতে,, আচ্ছা যাই হোক এখানে কি করছিলে এই সময়,,

পুতুলঃ রিক্সা করে যাচ্ছিলাম,রিকসা ওয়ালা এখানে রিকসা থামিয়ে ওই টংদোখানে সিগারেট খেতে গেলো,তখন ওই বখাটে গুলা,

আমিঃহইছে,, আমি রিকসা ঠিক করে দিচ্ছি, চোলে যাও,,

পুতুলঃআমি সত্যিই সরি,, ক্ষমা করে দেও আমায়,,আমি সবাই কে সব সত্যিই বলে দেবো,,

আমিঃআচ্ছা দিলাম করে,, সাবধানে যেও,

পুতুলঃতোমার হাত দিয়ে রক্ত পরছে তো,,

আমিঃযাওয়ার পথে ড্রেসিং করে নেবো,

পুতুলঃসাবধানে যেও,

.

পুদুলকে একটা রিকসায় করে পাঠিয়ে দিলাম,,,

.

দুদিন পর পিন্সিপাল কল করে কলেজে যেতে বললো,,,তার পরের দিন রাত ঠিক বারটার দিকে ফোনটা বেঝে উঠলো,

তাকিয়ে দেখি সারমিনের কল,

বুকের ভিতর চিনচিন করে উঠলো, 

ওর বলা কথা গুলো মনে পরতেই আর কল দরলাম না,,

বেস কয়েক বার বেজে বন্ধ হোয়ে গেলো,,

একে একে কলেজ থেকে সবাই কল দিয়ে ক্ষমা চেয়ে কলেজে যেতে বললো,

.

কত দিন আর কলেজে না গিয়ে থাকবো,, তাই কাল কলেজে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করলাম,,,.

.

পরদিন যথাসময় কলেজে গেলাম,,

একে একে সবাই এসে সরি বলে গেলো,,

.

রোমান ঃসরি রে,আমরা আসলে বুঝতে পারিনি,, পুতুল দুদিন আগে সব বলে দিছে,,

আমিঃতোরা আর কি বুঝতে পারবি,, যার সাথে দু বছর পথ চলা,,সেই বুঝতে পারলো না,,তা কেমন আছিস তোরা,

রোমানঃভালো,,

.

ক্লাশে ঢুকতে যাবো, তখন সারমিন এসে সামনে দারালো মাথা নিচু করে ,

পাস কাটিয়ে ক্লাশে ঢুকতে যাবো,,তখনই সারমিন আমার হাত দরে বারান্দায় নিয়ে গেলো,

.

নিচের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো,

সরি রে,আমি বুঝতে পারিনি,,পুতুল যে এমন সবার চোখে দুলা দেবে,,,প্লিজ ক্ষমা করে দে আমায়,,

আমিঃএকটা কথা কি জানিস,,কাছের মানুষের দেওয়া ব্যাথা সয্য করা বড় কষ্টের,,,আচ্ছা যা মাফ করে দিলাম,

সারমিনঃসত্যি,

আমিঃহুম,,আচ্ছা চল কফি খেয়ে আসি,,

সারমিন যেনো বিশ্বাষ করতেই পারছে না, আমি এত তারাতারি মেনে যাবো,, আসলে কষ্ট বুকে থেকেই গেলো,,

.

ওকে নিয়ে কফি খেতে চোলে গেলাম,,

.

সব আগের মতো সাভাবিক হোয়ে গেলো,,কিন্তু আমি সাভাবিক হোতে পারলাম না,,,

.

পর দিন আমি কলেজে গেলাম,,

সারমিন আর আমি পাসাপাসি বসে আছি,,,

তখন পুতুল আসলো আমাদের কাছে,,

.

পুতুলঃজনি কেমন আছো,

আমিঃএইতো ভালো,,তুমি,,

পুতুলঃভালো , তোমার হাতের কি অবস্থা,

আমিঃভালো,,

পুতুলঃশার্টের হাতা উঠাও,, দেখবো,,

আমিঃভালো হোয়ে গেছে,,

পুতুর নিজ হাত দিয়ে শার্টের হাতা উঠিয়ে দেখতে লাগলো,,

সারমিন চোখ বড় বড় করে দেখছে,,কি হচ্ছে,,

পুতুলঃবেস খানিকটা কেটে গেছে,,,এখনো তো শুকায় নি,,,

চলো,, কফি খেয়ে আসি,,,

আমিঃ না,, পরে একসময় খাবো,,

পুতুলঃকোনো না সুনছি না,তুমি কিন্তু বলেছো, বন্ধু হোতে,

এখন বন্ধুর কথা শোনো, আর চলো,,

আমিঃসারমিন চল,,

সারমিন ঃ না, তুই যা,,

কথাটা দাতে দাত চেপে বললো, ,

পুতুল আমার হাত টেনে নিয়ে গেলো,।

কি আজব দুনিয়া,,দু দিন আগে পুতুল আমার সাথে কি করলো,,

আর এখন এক সাথে কফি খেতে কেন্টিনে যাচ্ছি,,,

.

কেন্টিন থেকে ফিরে এসে দেখি সারমিন আগের জায়গায়ই বসে আছে,,

কিছুটা রাগের আভা ওর মুখে ফুটে আছে,,

পাসে গিয়ে বসলাম,,

.

সারমিনঃতোর হাত কাটা, এটা ও জানলো কেমনে,, আর আমাকে বলিসনি ক্যানো,,

আমিঃপরে বলবোনে,,

সারমিনঃও তোর সাথে এত কিছু করলো,, তারপরেও তুই ওর সাথে গেলি,,

আমিঃতুইওতো কম কিছু করলি না,,

সারমিন মুখটা কালো করে ফেললো,,

আমিঃআচ্ছা সেসব কথা বাদদে,,

সাথে গেলি না কেনো,,

সারমিনঃসেটা আমার ব্যাপার,,

আমিঃহুম, তাও কথা,,একথা বলতেই 

সারমিন আমার মুখের দিকে তাকালো,,

.

তার দুদিন পর রাত তখন বারটা কি একটা হবে ,,

সারমিন কল দিলো,,

ঘুমিয়ে ছিলাম, তাই তিন বারে কল দরলাম,,

আমিঃহ্যা বল,

সারমিনঃকি করছিস,

আমিঃ ঘুমিয়ে আছি,,

সারমিনঃও

আমি ঃকিছু বলবি,বললে বল আমি ঘুমাবো,,

সারমিনঃকেনো,, কোনো কারন ছারা কি তোর সাথে কথা বলতে পারিনা,,,

আমিঃআমার মতো চরিএহীন ছেলের সাথে এত রাতে কি বলবি,,বাঝে কিছু বলে ফেলতে পারি,,

সারমিন কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বললো,তুই যেনো কেমন হোয়ে গেছিস আগের থেকে,,

আমিঃছোট লোক হোয়ে গেছি তাই তো,,,

সারমিনঃজনিই,,

আমিঃআচ্ছা বাদ দে এসব কথা,, কাল কলেজে কথা হবে,,

কিছুক্ষন দুজনের নিরবতা চললো,,,

সারমিন নাক টানছে,,,,বুঝিনা কাদার কি হলো,,

আমিঃ সারমিন,,

সারমিনঃহু

আমিঃঘুমা,

সারমিন ঃ???

.

কলটা কেটে দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম,,,

পরদিন কলেজে গিয়ে দেখি সারমিন,,

চলবে...