বেস্টুর প্রেমে - রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প পর্ব ৩ - নিবর অনুভূতি

মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০২৪

বেস্টুর প্রেমে - রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প পর্ব ৩




রাত তখন বারটা কি একটা হবে ,,

সারমিন কল দিলো,,

ঘুমিয়ে ছিলাম, তাই তিন বারে কল দরলাম,,

আমিঃহ্যা বল,

সারমিনঃকি করছিস,

আমিঃ ঘুমিয়ে আছি,,

সারমিনঃও

আমি ঃকিছু বলবি,বললে বল আমি ঘুমাবো,,

সারমিনঃকেনো,, কোনো কারন ছারা কি তোর সাথে কথা বলতে পারিনা,,,

আমিঃআমার মতো চরিএহীন ছেলের সাথে এত রাতে কি বলবি,,বাঝে কিছু বলে ফেলতে পারি,,

সারমিন কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বললো,তুই যেনো কেমন হোয়ে গেছিস আগের থেকে,,

আমিঃছোট লোক হোয়ে গেছি তাই তো,,,

সারমিনঃজনিই,,

আমিঃআচ্ছা বাদ দে এসব কথা,, কাল কলেজে কথা হবে,,

কিছুক্ষন দুজনের নিরবতা চললো,,,

সারমিন নাক টানছে,,,,বুঝিনা কাদার কি হলো,,

আমিঃ সারমিন,,

সারমিনঃহু

আমিঃঘুমা,

সারমিন ঃ???

.

কলটা কেটে দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম,,,

পরদিন কলেজে গিয়ে দেখি সারমিন মুখটা মলিন করে বসে আছে, চোখটা কিছুটা লাল,মনে হয় রাত ঘুমায় নি,,,

.

ওর পাসে গিয়ে বসলাম,,

আমিঃকিরে কেমন আছিস,,

.

সারমিন আমার চোখের দিকে কিরকম করে যেনো তাকালো,,হৃদয় কেপে উঠলো আমার,,

ওর চুপ থাকা দেখে বললাম,কিরে কি করিস,,

সারমিন ঃকিছু না,,

আমিঃও,,

ওকে চুপচাপ দেখে বললাম, চল ফুচকা খেয়ে আসি,,

সারমিনঃতুই রাতে এমন করলি কেনো,,

আমিঃআসলে রাতে ঘুমের মধ্যে কি বলেছি খেয়াল নেই,চল,,

সারমিনঃহু,

!

সারমিন কে নিয়ে ফুচকার দোকানে গেলাম,,,

.

দুপ্লেট ফুচকা দিতে বললাম,,

.

সারমিন আমার দিকে তাকিয়ে বললো,,কিরে দু প্লেট নিচ্ছিস কেনো,,

আমিঃআমি খাবো না,,

সারমিনঃ এক প্লেটে খাই না,,

আমিঃনা,

সারমিনঃকেনো,,

আমিঃআমার থেকে ভালো কাউর সাথে সেয়ার করিস,,

সারমিনঃহু,??

আমিঃএখন গফাগফ খেয়ে নে ক্লাশে যেতে হবে,,,

.

আমার খাওয়া প্রাই শেষ,, কিন্তু সারমিন মুখে এক পিজ দিয়ে ফুচকার দিকে তাকিয়ে কি যেনো ভাবছে,,

আমিঃ কিরে খাচ্ছিস না কেনো,,

সারমিন হকচকিয়ে বললো,,ককই খাচ্ছি তো,,

.

বিল মিটিয়ে ক্লাশে চোলে আসলাম,,,

.

ক্লাশে আসছি যাচ্ছি,, এরকম করে কিছু দিন অতিবাহিত হোয়ে গেলো,,

তো আজ ও কলেজে মিনারের শিরিতে বসে বসে চুইংগাম খাচ্ছিলাম,,

হটাত কে যেনো বলে উঠলো একটা চুমু দেতো,,

মাথা উপরে তুলে দেখলাম সারমিন,,

আগের মনমানসিকতা থাকলে হয় তো সারমিনের ঠোটেই চুমু টা খেতাম,,

হাত থেকে ওর দিকে এক পিজ চুইংগাম বারিয়ে দিলাম,,

ও হয়তো এটা আসা করেনি,,অন্যকিছু আসা করেছিলো,, 

অস্পস্ট স্বরে বলে উঠলো,, এই চুমু না,,

আমিঃকিছু বললি,,,

সারমিনঃ না,,

আমি ঃতা হলে নিচ্ছিস না কেনো,,

সারমিনঃহু,

হাত থেকে চুইংগামটা নিলো,,

.

আমিঃবসে বসে খা,,, 

সাররমিণ পাসে বসলো, ,

চুইংগাম হাতে নিয়ে কি যেনো ভাবছে,,

আমিঃকিরে ইদানিং ভাবা ভাবি করিস দেখছি,,

কি ভাবিস এত,

সারমিন ঃতুই আগের থেকে অনেক বদলে গেছিস,,

আমিঃহাহাহা,তাইনাকি,, তুই কখনো কাছের মানুষের কাছ থেকে কষ্ট পেয়েছিস,,,

সারমিনঃ না,,তবে এখন পাচ্ছি,,

আমিঃতোকে আবার কে কষ্ট দিচ্ছে,, নতুন কাউকে জুটিয়েছিস নাকি,সে ই দিচ্ছে কষ্ট,

সারমিন কিছুটা রেগে বললো,জনি,বেসি বারাবারি হোয়ে যাচ্ছে কিন্তু।

আমিঃকুল দোস্ত কুল,,তোর থাকাটাই সাভাবিক,থাকতেই পারে,, বড়লোক বাবার একমাএ মেয়ে বলে কথা,, মিছ সারমিন খানম চৌধুরি,সেরা সুন্দরি।

সারমিনঃতুই কি বিদ্রুপ করছিস আমাকে নিয়ে,,

আমি ঃসে সাহস কি আছে আমার, 

সারমিন কিছুটা বিস্ময় নিয়ে আমার চোখের দিকে তাকালো,,

আমিঃচল চল ক্লাশে যাই,,

.

আমার পিছন পিছন পিছন সারমিন আসতে লাগলো,,

.

পড় দিন কলেজে গিয়েই আমি অবাক,,

পু্তুল আমার জেকেট পড়ে কলেজে এসেছে,সেদিন যে পরিয়ে দিয়েছিলাম,আর ফেরত দেয়নি,,

ক্লাশে আর না ঢুকে, মাঠে কোনে বসানো বেন্সে বসলাম,,

.

কোথাথেকে যেনো সারমিন হন্তদন্ত হোয়ে আমার সামনে এসে দারালো,,

দেখেতো মনে হয় বেস রেগে আছে ,

.

আমি ঃকিরে তোকে এমন দেখাচ্ছে কেনো,, 

সারমিনঃতোর জেকেট ওর গায়ে কেনো,,

আমিঃকার?

সারমিন কিছুটা ধমকের স্বরে বললো,তুই জানিস না,, কার গায়ে, পুতুলের গায়ে,,

আমিঃথাকলে সমস্যা কি,,

.

সারমিন এবার পুরো রেগে গিয়ে আমার মুখের কাছে মুখ এনে বললো,থাকবে কেনো ওর কাছে,,শোন আমাকে রাগাস না, রাগালে কিন্তু ছারখার করে দেবো, বলেদিলাম,,

একথা বলেই সারমিন আবার হনহন করে চোলে গেলো,

.

কিছুক্ষন পর সারমিন হাতে করে আমার জেকেটা নিয়ে এলো,,

সারমিনঃনে তোর জেকেট,,কুওা একটা,

এই বলে সারমিন জেকেট টা আমার মুখে ছুরে মেরে চোলে গেলো,,

আমি ওর কান্ড দেখে হাসছি,,

.

বসে না থেকে, ক্লাশে চোলে গেলাম,,

ক্লাশে যেতেই পুতুল আমার কাছে আসলো,

পুতুলঃজনি, সারমিন এটা কাজ করলো,,

আমিঃকি করেছে,

পুতুলঃতোমার জেকেট টা,,, দিতে এনেছিলাম, কিন্তু?

আমিঃ কিন্তু কি,,?

পুতুল কিছুটা মুখ বেকিয়ে বললো,, ওই সারমনি আমার কাছ থেকে এমন ভাবে ছিনিয়ে নিলো,যেনো তার জিনিস আমি চুরি করে নিয়েছি,,

আমিঃতুমি পরতে গেলে কেনো,,

পুতুলঃএমনেই,,

আমিঃভালো,

.

ক্লাশে আর সারমিন কে দেখতে পেলাম না,,

সেদিন আর সারমিন আমার সাথে কথা বললো না,,

.

পরদিন সারমিন কলেজে এলোনা, ,

তার পরের দিন কলেজে গিয়ে দেখি সারমিন

একা একা বসে আছে মাঠের কোনে বেন্সে,,

আমি পাসে গিয়ে বসলাম,,

.

সারমিন আমান মুখের দিকে তাকালো,,

আমিঃকিরে কেমন আছিস,

.

সারমিন আমার কথার কোনো জবাব না দিয়ে চুপ করে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলো,,

তারপর বললো,তোর পুতুলের সাথে তো দেখি বেস ভাব,,

আমিঃহাহাহা,,তাই নাকি,,

সারমিনঃওর সাথে আর কথা বলবি না,

আমিঃকেনো,

সারমিনঃ কোনো কেনো টেনো নেই,,কথা বলতে মানা করছি, বলবি না,, তাছারা মেয়েটাকে আমার কাছে সুবিধার মনে হয় না,,

আমিঃহাহাহা তাই নাকি,,

সারমিনঃহাসবি না,,

আমিঃআচ্ছা ও কেমন সুবিধার না,,

সারমিনঃমানে বেসি একটা ভালো না,,

আমিঃআমিওতো তেমন একটা ভালো না,,চরিএের ঠিক নেই আমার,,

সারমিনঃদেখ আমার মুড খারাফ করবি না,,,। কথা বলতে না বলছি, বলবি না,,

.

আমিঃআচ্ছা আমি চেষ্টা করবো,

সারমিনঃচেষ্টা না, বলবি না ব্যাস,,এর পর যদি কথা বলতে দেখি তোর গলা চেপে দরবো কুওা,দেখিস,,

আমিঃহাহাহাহা,আচ্ছা,,

.

সারমিনের সাথে আগের মতো আর দুষ্টমি করি না,,

সারমিনের সাথে কেনো কেউর সাথেই করি না,, 

সারমিন হয়তো আগের আমি কে মিছ করে,,হয়তো বা না,,

.

.

রাত তখন বারটা, 

ফোনটা বেঝে উঠলো,,তাকিয়ে দেখি

সারমিনের কল। 

হালকা চোখটা লেগে এসেছিলো,,

কিন্তু ওর কল দেওয়ার কারনে ঘুমটা বেঙ্গে গেলো,,

.

কল রিসিব করে কানের কাছে দরলাম,, 

আমিঃহুম বল,,

সারমিনঃঘুমিয়ে ছিলি বুঝি,,,

আমিঃহুম,,

সারমিনঃসরিরে,,

আমিঃনা ঠিক আছে,,বল,

সারমিনঃকাল আমার জন্মদিন মনে আছে,

আমিঃহুম আছে,,

সারমিনঃতুই কিন্তু সবার আগে থাকবি, তোকে ছারা কিন্তু আমি কেক কাটবো না,,

আমিঃতোর বাসায় কি ঝাড়ুদার আছে,

সারমিনঃকেনো,

আমিঃআমার মতো নর্দমার কিট প্রতঙ্গ তোর বাসায় ঢুকলে তোর বাসা যদি নোংরা হোয়ে যায় তাই জিগাসা করলাম আর কি,,,

.

সারমিন চুপ করে আছে , নাক টানার শব্দ পাচ্ছি,,

আমিঃ কিরে কি হলো,,

সারমিন কিছুটা কান্নামাখা কন্ঠে বললো,,তুই সবসময় আমাকে আঘাত দিয়ে কথা বলিস,, আমি কি কষ্ট পাইনা,,

আমিঃআচ্ছা সরি,, আমি আসার চেষ্টা করবো,,,সারমিনঃআমি কোনো কথা শুনতে চাইনা,, তুই আসবি না হলে কেক কাটবো না,,

আমিঃহুম,,

.

পরদিন শফিনমলে গেলাম,,

দেখেশুনে ভালো দেখে একটা কালো শাড়ি কিনলাম,,

কালো শাড়ি আমার বেস পছন্দের,,

.

বিকালে সারমিনের অনুষ্ঠান,,

.

আপনারা কি ভাবছেন, আমি যাবো,,

.

.

না,,জাবো না,,সব জায়গায় সবাইকে মানায় না,,

দেখা গেছে আমি গেলে অনুষ্টানে ওর বাবার সামনে কেক খাইয়ে দেবে,, যা সবাই ভালো চোখে দেখবে না,,অনেক গন্য মান্য মানুষ আসবে,,

তার থেকে না যাওয়াই ভালো,,

.

তাহলে শাড়িটা কি করবো,,

.

হুম আমাদের কলেজের আরো অনেককে অনুষ্ঠানে ইনবাইট করেছে,,তাদের কাছে দিয়ে দেবো,,

যেই বলা সেই কাজ।

দিয়ে দিলাম,,

মোবাইলটা বন্ধ করে রাখলাম,,

.

সন্ধার আগ আগ মূহুর্তে,, সুয়ে আছি,

বাসার কলিংবেলটা বেজে উঠলো,,

আব্বু আম্মু মামার বাসায়,, তাই নিজে গিয়েই দরজা খুলতে হলো,, 

.

দরজা খুলতেই আমি অবাক,,

বিস্ময়ের শেষ নেই আমার,,

.

সারমিন দারিয়ে আছে,,বার্থডে সাজে, ,

বেস লাগছে দেখতে,,

কিন্তু মুখটা কেমন গোমরা করে রেখেছে,

চোখ কেমন লাল হোয়ে আছে,,

কিছু বলার আগে ও কলার টা টেনে বাসা থেকে বাহিরে বের করে গাড়ির ভিতর নিয়ে ফেললো,,

.

তারপর গাড়ির দরজাটা আটকিয়ে দিয়ে, নিজে উঠে গাড়ি ড্রাইব করতে লাগলো,,

.

এভাবে তো চুপচাপ থাকা যায় না, কিছুতো বলা দরকার,তাই জিগাসা করলাম,,

আমিঃকিরে অনুষ্ঠান শেষ

সারমিনঃ???.

.

আমিঃকোথায় যাচ্ছি আমরা,,

.

সারমিন:??

.

সারমিন কোনো কথা বলছে না,, এক ধ্যানে গাড়ি ড্রাইব করছে,

আমিযে কিছু বলছি, তা সারমিনের কানেই যাচ্ছে না,, 

.

কিছুক্ষন পর একটা বিশাল লাইটিং করা বাসার সামনে এসে গাড়ি থামালে,,

আমার চিন্তে কোনো অসুবিধা হলো না,, যে এইটা সারমিনের বাসা, 

সারমিন আমার হাত দরে ভিতরে নিয়ে গেলো,,

তখন একটা লোক বলতে লাগলো,

এতক্ষন লাগে আসতে,,তারাতারি আয়,সবাই অপেক্ষা করছে,,

,,

সারমিন গিয়ে কেকের সামনে দারালো আর আমাকে তারপাসে দারকরালো,,

সবাই চারদিক থেকে ঘিরে দারালো,,

,সারমিন ফু দিয়ে মমবাতি নিবালো,,

তারপর কেক কেটে একটুকরো হাতে নিয়ে.....

.

.....চলবে.......