সিনিয়র মেয়ে যখন আদুরে বউ পর্ব ৩
দিয়া ওভাবে চলে যাওয়াতে আমার খারাপ লাগলেও কিছু করার নেই।
আমরা দুজনই রুমে বসে আছি বাট দিয়ার অনেক মন খারাপ মনে হচ্ছে, মাথা নিচু করে একভাবে জানালার সাইডেই দাঁড়িয়ে আছে।
আমি কিছুক্ষন এটা নোটিশ করলাম। আচ্ছা দিয়া কি আমার ব্যবহারে মন খারাপ করে আছে। যাই আমিই ওকে সরি বলি।
আমি এবার দিয়ার পিছনে দাঁড়িয়ে....
-- ওই.....
দিয়া কোনো রেসপন্স না দিয়ে দাঁড়িয়েই রইল, আমি আবারো...
-- ওই
-- চুপ
-- ওই পেত্নি....
মেয়েটা সাড়াই দিচ্ছে না নীরব হয়ে আছে, আমি আবারও...
-- ওই হ্যালো,
-- চুপ
-- আবে বোবা নাকি
মেয়েটা এবার সাথে সাথে আমার দিকে ঘুরে তাকালো আর আমি ওর চোখের দিকে তাকাতেই দেখি ওর চোখে পানী।
হায় আল্লাহ দিয়ার চোখে পানী কেন?
চোখ গুলা পুরাই লাল হয়ে আছে।
-- ওই কান্না করছেন কেন?(আমি)
দিয়া কোনো না বলে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না করছে।
আমি আবারো....
-- কেন কান্না করছেন আপনি? আব্বু আম্মুর জন্য মন খারাপ বুঝি।
মেয়েটা মাথা নেড়ে...
-- নাহ।
যাহহহহ শালা তাহলে কেন কান্না করে আমার জন্য নাকি, শালা এটা যদি আম্মু কিংবা আব্বু জানতে পারে আমার বাঁশ দিয়ে দেবে।
আমি ভয় পেয়ে...
-- তো তো তো তো কিসের জন্য শুনি?
-- হুহুহুহুহু আমার ক্লাশ স্কোয়াড র্যাংকের একটা স্টার কমে গেছে।
ভাইরে আমি শুনেই হতাশ। শালা এটা বৌ নাকি বাঁশ।
আমি দিয়ার দিকে নিষ্পাপ চোখে তাকিয়ে হাল্কা হেসে...
-- বলছি দিয়া আর বাঁশ দেবেন, ওয়েট আমি পিছন ফিরছি, দেন গুঁজে দেন
দিয়াও রেগে এবার...
-- ওই কুত্তা ফাজলামো করোস উহুহুহুহু আমার একটা স্টার
শালা এতো ভারী মুশকিল।
-- ধ্যাত নুবের মতো খেললে এরকমই হয়।
-- ও হ্যালো নুব কাকে বলছেন কেডি দেখেছস আমার
-- ওহ হ্যালো কেডি দেখে খেলা হয় না খেলা হয়নি নিজের এক্সপিরিয়েন্সে।
দিয়া এবার রাগী লুক দিয়ে.....
-- দেখ এই নিয়ে আমি ঝগড়া করতে চাই না।
-- বাট আমি করবো, এভাবে কেউ মানুষকে আতঙ্কিত করে শালা সামান্য একটা র্যাংকের স্টারের জন্য, আমি তো ভাবলাম আপনার বাপ ঠুঁই করে চলে গেলো নাকি।
এটা বলেই আমি উপরের দিকে তাকালাম
ভাইরে দিয়া আরো রেগে লাল হয়ে আমার কানটা ধরে....
-- ভালো হচ্ছে না কিন্তু
-- হিহিহি ভালো না হয়ে খারাপই হোক না।
-- কাস্টমে কখনো আসিস মেরে বালি চাপা দিয়ে দেবো।
-- উহহহহহ ওটা গেমেই পারবেন কখনো বাস্তবে না।
দিয়া এবার জিভ বাড়িয়ে আমার দিকে ভেঙচি কেটে...
-- হাহাহাহা বলে কি এই তো পাট কাঠির মতো বডি
শালা আমাকে এভাবে অপমান, আমিও ছাড়বো না
-- ওকে ওকে, ক্লাশ স্কোয়াডে আসুন দেখিয়ে দেবো আজ
দিয়া এবার একটা কাস্টম রুম ওপেন করে আমায় ইনভাইট দিলো এবং ম্যাচ স্টার্ট করলো।
আমি ভাই গ্লু ওয়াল তেমন ফেলতে পারি না। তাই বিনা গ্লু ওয়ালেই এগিয়ে যাচ্ছি।
ভাইরে কোথা থেকে যেন কে ঠুঁই করে আমায় মেরে দিলো আর ডিসপ্লেতে উঠে গেলো Defeat
আমি আবারো জোশ নিয়ে খেলতে গেলাম বাট শালা কিছুদূর এগোতে না এগোতেই ঠুঁই করে মেরে আমায় চান্দের দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। নাহ এভাবে পসিবল না একে যাহোক করে ছলবলে কৌশলে হারাতে হবে।
তাই আমি....
-- এই দিয়া শোনেন না... (আমি)
-- জ্বি বলেন স্যার। (দিয়া)
-- বলি আপনি কি আমায় স্বামীর মর্যাদা দিয়েছেন?
দিয়া হাল্কা হেসে আমার দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়িয়ে মুচকি হেসে...
-- নাহ।
আমি এবার হাল্কা হেসে.....
-- আপনাকে কাল খুবই সুন্দর লাগছিলো।
দিয়া হাল্কা হেসে.....
-- থ্যাংক্স।
-- আরে আপনার থ্যাংক্সটা কি ফ্রিজে রাখা ছিলো নাকি?
দিয়া এবার হেসে...
-- হাহাহা ফ্রিজে থাকতে যাবে কেন?
-- তাহলে এতো ঠান্ডা কেন? উফফ আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে আমি কিভাবে খেলবো, আমি তো হেরে যাবো
-- হিহিহি, ওহহহহ নিজে হেরে যাবে তাই স্বীকার করতে চাইছো না।
আমি হাল্কা হেসে...
-- আরে না বুচকি
দিয়া ভ্রু কুঁচকে.....
-- এই বুঁচকিটা কে
-- আরে তেমন কেউ আমার সামনে বসেই তো এক ভদ্র মহিলা গেম খেলছে তারই নাম ওটা, আমি দিলাম এই।
-- লাগবে না তোমার নাম।
-- আচ্ছা নাই লাগুক, তবে যদি ভালোবাসা লাগে কোনোদিন তাহলে বলবেন একটুও কম দেবো না।
দিয়া এই কথাটা শোনার পরেই আমার দিকে খুশি মনে তাকিয়ে....
-- সত্যি বলছো।
-- জ্বি সত্যি বলছি।
আসলে ভাই আমি তো গেমে জেতার জন্য এসব বলছি ছলে বলে যাহোক করে আমায় জিততে হবে।
দিয়া এবার খেলাটা স্লো করে দিলো, আমায় দেখতে পাচ্ছে বাট শুট করছে না, আমি রাউন্ডটা জেতার পর আমার মুখে খুব হাসি খুব খুশি। এটাকে দিয়া বারেবার উপভোগ করছে আমার দিকে তাকিয়ে। এর পরে যতোগুলো রাউন্ড হলো দেখলাম সবগুলোই ও হেরে গেলো।
আমি অবশেষে বুয়াহ পেয়ে খুশিতে ওকে দৌড়ে জড়িয়ে ধরলাম আর সাথে সাথে দিয়া আতকে উঠলো, আমি খুশির চোটে ওকে খুব জোরে চেপে ধরলাম।
কিছুক্ষন পর আমায় দিয়া টেনে ছাড়িয়ে খুব জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগলো, আর মুখে পড়ে থাকা চুলগুলো কানের উপরে তুললো। ভাইরে আমি সাথে সাথে ক্রাশ খেলাম কারন এটা আমার দুর্বলতার জায়গা। আমি বুকে হাত দিয়ে মনে মনে...
-- কুল অভ্র ব্রো, শুধুমাত্র টিমমেট।
দিয়া এবার আমার দিকে তাকিয়ে.....
-- এটা কি বাড়াবাড়ি হলো না?
আমি হাল্কা হেসে.....
-- সরি
দিয়া মিটিমিটি তাকিয়ে.....
-- ইটস ওকে।
আমি এবার ওর একটু ক্লোজে যেতেই আবারো দিয়া লজ্জা পেয়ে মুখের উপর দুটো চারটা পড়ে থাকা চুলগুলো কানের মাথায় গুঁজে নিলো, আমি ধমক দিয়ে.....
-- প্লিজ এমন করবেন না।
সাথে সাথে দিয়া আতঙ্কিত হয়ে আমার দিকে ভয়ের ছাপ নিয়ে তাকালো আর চোখের কোনে অভিমানের ও ভয়ের কান্নার ছাপের সাথে....
-- কেন?
-- উফফফ জানিনা, বুকে লাগে এটা।
-- কোনটা?
-- আপনার ওই যে ওটা।
-- কোনটা?
-- ওই যে কানের মাথায় মিষ্টি করে চুল রাখাটা।
দিয়া আবার লজ্জা পেয়ে কানের উপরে হাত দিতেই...
-- খবরদার
দিয়া এবার হিহিহি করে হেসে উঠলো আর ভয় পেয়ে মুখ লুকিয়ে নিলো।
আমি এবার কুল হয়ে...
-- ওই শোনেন...
-- জ্বি বলেন...
-- আপনি আমায় এতো ভয় পান কেন? আমি তো আপনার থেকে বয়সে ছোটো।
-- জ্বি তাতে কি? আপনি তো আমার স্বামী তাই না।
-- এই এই এই স্বামী মানে কাল না বললেন আপনার এই বিয়েতে মত ছিলো না
-- জ্বি ছিলো না, তবে বিয়ে যখন হয়েই গেছে তখন আর কি করার।
আমি এবার গালে হাত দিয়ে....
-- উমমমম এটাও ঠিক। আচ্ছা আমার কাছে একটা আইডিয়া আছে শুনবেন...
-- জ্বি।
-- আমরা আগে দুজন দুজনকে চিনি মানে ফ্রেন্ডশিপ করি তারপর যদি আমাদের মধ্যে তেমন কোনো বন্ডিং না হয় আমরা না হয় ডিভোর্স নিয়ে নেবো।
কথাটা শোনার সাথে সাথে আমার কলার ধরে দিয়া দুটো চোখ বড়ো বড়ো করে..........
-- ছিহহহহ
আমি ওর হাতটা ছাড়িয়ে....
-- আমি কি ভুল বললাম?
সাথে সাথে দিয়া মুখ লুকিয়ে নিলো আর মুখটা মুছে আমার সামনে এনে....
-- আরে না না, আমি ডান।
আমি এবার হাল্কা হেসে ওর দিকে হাত বাড়িয়ে.......
-- ফ্রেন্ড।
-- ইয়েস।
এটা বলে দিয়াও হাত বাড়ালো।
ডিনার সেরে রাতের দিকে আমি ছাদে আছি, এখন তো গ্রীষ্মকাল তাই ছাদে বওয়া ফুরফুরে বাতাসটা বেশ ভালো লাগছে।
ডান হাতে সিগারেট বাম হাতে মোবাইল কানে ইয়ারফোন আর সাথে জুবিন নাটুয়ালের গান। আহা জীবন মন দুটাই ভরে যায়।
কিছুক্ষন পর আমার কাঁধে কারোর হাত রাখার টের পেলাম।
আমি পিছন ফিরে তাকালাম দেখি দিয়া।
আমার হাতে সিগারেট দেখা মাত্রই ও কোমড়ে হাত দিয়ে আমার দিকে রাগী লুক দিলো, আমি কনফিউজড হয়ে.....
-- কি হলো?
-- হাতে ওটা কি?
আমি সাথে সাথে লুকিয়ে দিয়ে....
-- হিহিহি কিছু না।
-- আন্টি আঙ্কেলকে বলা লাগবে দেখছি।
-- আরে না না, আমি এখনই ফেলে দিচ্ছি।
দিয়া এবার আরো একটু রাগী লুক দিয়ে মিটিমিটি হেসে...
-- ওকে বাট আমার সামনে ফেলতে হবে।
আমি ভয়ের চোটে ওর সামনেই সিগারেটটা ফেলে দিলাম।
দিয়া এবার আমার বাম সাইডে এসে দাঁড়ালো, দূরের ওই আকাশের চাঁদের দিকে তাকিয়ে....
-- এতো কি করছো এখানে?
-- তারা গুনছিলাম।
-- তাই, আচ্ছা কতগুলো গুনলে শুনি?
-- উম তোমাকে নিয়ে এক লাখ চারশো বিশটা।
দিয়া এবার হাল্কা হেসে....
-- হিহিহি পাম দিচ্ছো।
-- আরে না না, আপনি এতো রাতে ছাদে এলেন কেন শুনি?
-- এই ভালো লাগছিলো না, আচ্ছা তুমি আমায় তুমি বলতে পারো কজ আমরা ফ্রেন্ডস।
-- ইয়াপ সিউর।
আমি এবার ছাদের পাঁচিলে হাত রেখে ওর চুলের দিকে তাকাতেই দেখি ওর চুল খুলা।
-- ওই তোমার চুল খোলা কেন?
-- এমনি।
-- আরে বাবা এখনই চুল খোঁপা করো, আম্মুর মুখে শুনেছি মেয়েদের রাতে খোলা চুলে ছাদে আসতে নেই।
দিয়া এবার ঘাড় নেড়ে....
-- পারবো না।
-- পারবে না মানে যদি কিছু হয়ে যায়।
দিয়া এবার আমার তাকিয়ে...
-- হোক না তাতে কি?
আমি রেগে...
-- উফফফ পাগল নাকি।
এটা বলেই আমি ওর চুলে খোঁপা বেঁধে দিলাম, আমি এর আগের আম্মুর অনেকবার শখ করে বেঁধে দিয়েছি।
দিয়া এটা দেখে...
-- এসবে তুমি দেখি বেশ এক্সপার্ট, কয়টা প্রেম করেছো হুম?
-- আরে না না প্রেম ট্রেম আমার দ্বারা হয়নি।
দিয়া এবার মুখে হাত দিয়ে....
-- হয়নি নাকি পাত্তা দেয়নি, হিহিহি
আমি একটু ভাব নিয়ে....
-- বেশি আজেবাজে বকবেন না আমার পিছনে হাজারো মেয়ের লাইন আছে।
-- তাই বুঝি।
এটা বলেই আমার সামনে ওর মোবাইলের ম্যাসেঞ্জারটা অন করলো আর আমার চ্যাট লিস্টটা সামনে তুলে ধরলো, আমার আগে ওকে করা ম্যাসেজ গুলো। ভাইরে মান সম্মান সব চলে গেলো।
আমি সাথে সাথে মুখে হাত দিয়ে...
-- এ এ এটা আমি না।
-- ওমা তাই। তা কে শুনি?
-- আমি কিভাবে জানবো, আজব তো
এটা বলেই আমি তাড়াতাড়ি চিলোকোঠা হয়ে নীচে নেমে গেলাম লজ্জায়।
রুমে এসে সোফায় বালিশ রেখে কম্বল বিছাচ্ছি তখনই দিয়া....
-- তুমি বেডে ঘুমাতে পারো, সোফায় ঘুমানোর দরকার নেই।
-- আরে কি বলো? আমি একজন ছেলে আর তুমি মেয়ে পাশাপাশি ঘুমালে যদি কোনোরকম অঘটন ঘটে যায়।
দিয়া এবার মুখ বাঁকিয়ে....
-- উহহহহহহহ কাল তো এরকম কথা ছিলো না মুখে ঢং
এটা বলেই ও শুয়ে পড়ল এক সাইডে। আমিও সোফায় শুয়ে আছি একে অপরের দিকে তাকিয়ে।
দিয়া আমার দিকে তাকাচ্ছে আর মিটিমিটি হাসছে আর কেন জানিনা আমার ততোবেশি লজ্জা লাগছে। এমন করতে করতে কখন যে দুজন ঘুমিয়ে পড়েছি কোনো খেয়ালই নেই।
পরেরদিন সকালে শ্বশুরের বাসা যাবো তাই রেডি হতে লাগলাম দুজন।
আমার রেডি হওয়া কমপ্লিট তবে দিয়া এখনো রেডি হচ্ছে। আয়নার সামনে সেই কখন থেকে বসে আছে কখনো মেকাপ কখনো কাজল আবার কখনো লিপস্টিক।
আমি বিছানায় বসে বোর হচ্ছি অবশেষে রেগে....
-- ওই হলো তোমার?
দিয়া এবার....
-- পারছি না।
-- কি পারছো না?
-- সেফটিপিনটা আঁটকাতে আঁচলের।
আমি এবার তাড়াতাড়ি করার জন্য
-- আচ্ছা আমি লাগিয়ে দিচ্ছি।
এটা বলেই ওর কাছে গেলাম আর সেফটিপিন হাতে নিয়ে আঁচল আঁটার জন্য আমি কাঁপড়ের ভেতর লাগাতেই হঠাৎ দিয়া শিউরে...
-- আহহহহহহহহহহহহউউউউউউউউউ(কষ্টে কাতরে)
আমি সাথে সাথে সেফটিপিনটা বের করে ওর ব্লাউজটা হাল্কা সরাতে দেখলাম ওখানে লেগে গিয়ে রক্ত বের হচ্ছে হাল্কা। ছোটোবেলার সেই স্বভাবের মতো এখনো ওখানে ঠোঁট চাপিয়ে দিলাম।
দিয়া দেখি এবার নিথর হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। অবশেষে আমি ঠোঁট ছাড়িয়ে ওর দিকে তাকাতেই দেখি আমায় দিকে কেমন পাগলির মতো তাকিয়ে আছে।
আমি ওর সামনে হাতের তুরি মেরে....
-- ও হ্যালো কি হলো?
সাথে সাথে দিয়া.....
-- কই কি হবে? আমি কোথায়? চলো যাই। আমার আঁচলটা হলো আঁটা।
আমি হাল্কা হেসে ওকে আয়নার সামনে ভালোকরে দাঁড় করিয়ে...
-- ইয়েস ম্যাম কমপ্লিট।
দিয়া হাসিমুখে এবার আমার গালে হাত দিতে যাবে ঠিক তখনই আমি ওর থেকে দূরে এসে লাগেজ নিয়ে বাইরে বেরিয়ে গেলাম।