পিচ্চি বউয়ের রোমান্টিক অত্যাচার পর্ব ৩ - নিবর অনুভূতি

শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

পিচ্চি বউয়ের রোমান্টিক অত্যাচার পর্ব ৩




ইসরাঃ আম্মু আমি খাবো না ( কথাটা বলেই ইসরা রুমে চলে গেলো) 


আম্মুঃ ( আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে) আরিয়ান তুই ইসরার সাথে কি করছিস...


আমিঃ কই আমি তো কিছু করি নাই


আম্মুঃ ( বস্তার বস্তা রাগ মাথায় লইয়া)  যা খাবার নিয়ে রুমে গিয়ে ইসরাকে খাইয়ে দিবি। 


আমিঃ আমি পারমু না..


সাথে সাথেই আম্মু সহ আব্বুও সেই লেবেলের রাগ লইয়া আমার দিকে তাকাতেই..


আমিঃ আরে যা যাচ্ছি তো 


আসলে দুঃখের কথা কি আর কমু রে ভাই  সা*লার  এই বাড়িতে আমার কোনো সম্মান ই নাই

খাবার নিয়ে রুমে গিয়ে দেখি আমার পিচ্চি বউটা এক বালতি অভি"মান মনে লইয়া এক্কেবারে গুলুগুলু হয়ে বসে আছে..


আমিঃ ( অর পাশে গিয়ে বসে)  তোমার জন্য খাবার আনছি খেয়ে নাও..


ইসরাঃ...............( চুপ)


আমিঃ কি বেপার কিছু বলতেছো না কেন? 


ইসরাঃ..............( চুপ)


উফফফ কি যে করি.. পরিশেষে বাদ্য হয়েই হাত ধুয়ে নিজের হাতে খাবার লইয়া অর মুখের কাছে নিয়ে

আমিঃ বাবু খাও 


ইসরাঃ এক্কেবারে কয়েক কোটি বস্তা অভিমান লইয়া  তুমি আমাকে একটুও ভালোবাসো না..


আমিঃ এহে এহে...কে বলছে আমি আমার কিউত বউতালে বালুপাসি না.. আমি তো তোমাকে এত্তগুলা ভালোবাসি..


ইসরাঃ সত্যিই 


আমিঃ হুম সত্যি এবার লক্ষি মেয়ের মতো খেয়ে নাও তো... নিজের খাওয়া থইয়া বউরে খাওয়াই দিতেছি আর দুঃখের ঠেলায় মনে মনে গান গাইতেছি 

*ভালোই ছিলাম আমি বিয়া না কইয়া...

বিয়া কইরা এখন আমি কান্দি বইয়া বইয়া )


ইসরাঃ ওর হাতে খাবার নিয়ে.. আমার মুখের কাছে এনে.. তুমিও খাও...

 ( আহহ....... এখন প্রষুর ভাল্লাগছে)  


তারপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে.. লুঙ্গি পইরা একটু বাইরে হাটতে বেরোলাম। লুঙ্গি উঁচিয়ে ডান হাত কাধেকাধের উপরে রেখে রাস্তা দিয়ে হাটতেছি আর মনের সুখে গান গাইতেছি


*গান

আখ খেতে ছাগল বন্দি,

জলে বন্দি মাছ

 নারীর প্রেমে পুরুষ বন্দি,

ঘোড়ায় বারো মাস

সখি গোওঅঅঅঅও

আমার মন ভালা না..


এমন সময়ে কয়েকটা ময়দা সুন্দরীর চিল্লাচিল্লাতে পিছনে ফিরে তাকালাম। এইরে কাম সারছে এডি তো আমার ক্লাসমেট  যাই তারাতাড়ি ভাগা দেই নাইলে আবার আবার আমার ১২ টা বাজাবে.. 


সাদিয়াঃ (আমাকে উদ্দেশ্য করে) এই হা"*রামি পালাচ্ছিস কেনো? 


তাহিয়াঃ আরে দুস্ত.. ওরে ডাকলে জীবনেও দাঁড়াবে না  চল সা*লারে  আটকাই গিয়ে 


প্রিয়াঃ আরে তোরা দৌড়া নয়তো ও পালিয়ে যাবে..


এইরে পরিস্থিতি সুবিধার মনে হচ্ছে না..আমিও এক্কেবারে হোসাইন বোল্টের গতিতে দিলাম খেই"চ্চা দৌড়.. কিন্তু ওই যে কপাল খারাপ থাকলে যা হয় আরকি.. লুঙ্গির মধ্যে প্যাচ খাইয়া চিৎ প"টাং..


আমিঃ ওরে মারে বারারে আমার কোমড় টা গেলো রে.. ওওওয়া.... ওওওয়া.... 


তারপর হারাম"*জাদিগুলা আমার কাছে এসে আমাকে টা"ইন্না  টু"ইন্না তুইল্লা।


সাদিয়াঃ এইই তুই সেই ক্লাস নাইন থেকে বলে আসছিস যে তুই ইন্টারমেডিয়েট পাস করেই আমার সাথে প্রেম  করবি আর সেই জন্য আমি প্রতি সপ্তাহে ভাইয়ার কাছ থেকে এটা ওটা বলে টাকা এনে তোকে নিয়ে ঘুরছি তোকে খাওয়াইছি  আর সেই তুই হুট করেই অন্য একটা মেয়েকে  সোজা বিয়ে করে ফেললি 


তাহিয়াঃ হায় আল্লাহ এসব  তুই কি  বলতেছিস দুস্ত! আমাকেও ওই একি কথা বলছে যে ইন্টারমেডিয়েট পাস করে.. আমার সাথেই প্রেম করবে আর সেই জন্য আমি আব্বুর পকেট মাইরা অরে প্রত্যেক দিন ফুচকা খাওয়াইসি 


প্রিয়াঃ আল্লগো.. তোরা আর পোলা পাইলি না এই টাউ*টের  প্রেমে পরেছিস.. আরে বে"টা ও আমার বন্ধবি এর সাথে ৪ মাস প্রেম করছে ভাইরে এই ৪ মাসেই অই  মেয়ের জীবনটা পুরো ত্যাজ পাতা কইরা দিছে.....


আমিঃ অই গাধি*য়েগল  তোরা বুঝস নাই। আমি তোদের পা"ম মাইরা তোদের কাছ থেকে গলাইছি..


( পাঠক ভাইয়েরা মুই ঠিক কাজ করছি না আন্নেরা একটু বলেন )...


সাদিয়াঃ তা বাবু এখন যে তার সুধ নেবো.. তোরা সবাই ওর লুঙ্গি খোল...


আমিঃ এএএএই ছে*রি..  আর এক বার যদি তুই আমারে ধম"কায়া লুুঙ্গি খুলার কথা কইছোস.. তো তোরে আমি কুইট্টা"*লবাম..। (নরম সুরে) দুস্ত একটু আস্তে কস না এইখানে আমার অনেক ভক্ত আছে তারা সব শুনে ফেললে আমার মানসম্মান কিছুই থাকবে না....


তাহিয়াঃ আরে বে*টা  রাখ তোর কাছে এখন কতো আছে বেড় কর.....


আমিঃ দুস্ত আমার কাছে এখন কোনো টাকা নাই.


প্রিয়াঃ আরে তোরাও কি পা*গল  হইছোস ওর কাছে টাকা থাকলেও কি ও স্বিকার করবে নাকি!  সা*লারে চেক কর..


( আল্লাগো আমারে এইবারের মতো বাচাইয়া দেও আহহ বুদ্ধি পাইয়া গেছি )


আমিঃ ( জুরে চেচাইয়া চেচাইয়া) হাবিব ( তাহিয়ার আব্বুর নাম )

আংকেল দেখেন আপনার মেয়ে আমাকে ইভ"*টিজিং করতেছে...


মুহুর্তের মধ্যেই ৩  হারা"*মজাদি উধাও 


আহহ পরিবেশ টা কত শান্ত না 

কোনো হইচই আছে...


উউউহ.. শরিলে মোডমোডি একটা ভাব আইছে.. 


বাসায় যাইগা.. 

অন্যদিকে  হারাম"*জাদিগুলা  দৌড়াইতে দৌড়াইতে কিছুদুর যেতেই


তাহিয়াঃ এইই দাড়া তো।


প্রিয়াঃ দুস্ত.. আমার মার খাওয়ার শখ নাই। আমি যাচ্ছি 


তাহিয়াঃ আরে বে*টা  দাড়াইতে বলছি দাড়া.. 


সাদিয়াঃ আচ্ছা.. আবার কি হইছে..


তাহিয়াঃ আব্বু তো সকালে ঢাকা গিয়েছে।  বলেছে কাল ফিরবে তাহলে আব্বু এখানে কোথ থেকে আসবে..


প্রিয়াঃ হইছে কাম. সা"*লায় আমাদের ঢপ মারছে.


সাদিয়াঃ হারা"*মিটারে  আরেকবার পাইয়া লই...  


যাক বাবা ভালোই ভালোই বাসায় পৌছালাম 

ইসরাঃ এইই তোমার লুঙ্গি তে ময়লা কেন..


আমিঃ এহ হে ( খাইছেরে )


ইসরাঃ ( হাসতে হাসতে)  পরে গেছিলা নাকি?  আচ্ছা যাও লুঙ্গি পালটে এসো..


সা*লার লুঙ্গিই আর পরমু না  ইসস আরেকটু হলেই তো গিয়েছিলাম.. তারপর লুঙ্গি চেঞ্জ করে  থ্রি কটার পরে বউয়ের সামনে যেতেই 

ইসরাঃ এই তোমার কি কোনো কমনসেন্স নাই? বিয়ে করে ফেলছো আর এখনও থ্রি কটার পরা ছাড়তে পারনি!  পেন্ট পরে আসো যাও..


আমিঃ উফফ বা"*ল  ভাল্লাগে না..


ইসরাঃ যাও বলছি...


তারপর বাদ্য হয়েই.. থাক আর কমু না.


রাতে খাবার খেয়ে নিজের রুমে এসে ফেসবুকে বান্ধবির সাথে চ্যা"ট করতেছিলাম। এমন সময়ে ইসরা এসে

ইসরাঃ এই তুমি কার সাথে চ্যা"ট করো..


আমিঃ আরে আমার ফ্রেন্ডের সাথে..


ইসরাঃ মেয়ে ফ্রেন্ড নাকি ছেলে..


আমিঃ ছেলে  ফ্রেন্ড ( মিথ্যা বললাম আপনারা আবার কইয়া দিয়েন না তাইলে ভাই আমারে কুই*ট্টালবো...)


ইসরাঃ অহ.. আচ্ছা মোবাইল রাখো..


আমিঃ কেন..


ইসরাঃ আমাকে আদর করো..


আমিঃ এখন না পরে..


ইসরাঃ না এক্ষন.. কথাটা বলেই ও আমার উপরে  শুয়ে আমার ঠোঁটের সাথে ওর ঠোঁট জোড়া এক করে দিলো...


পরের দিন বিকেলের দিকে ছাদে বসে গান গাইতেছি এমন সময়ে ইসরা এসে 

ইসরাঃ এইই তুমি এখানে গান গাচ্ছো..


আমিঃ হুম..


ইসরাঃ তাহলে আমাকে নিয়ে একটা গান গাও তো.....


আমিঃ অকে বাবু।


*গান 

ইসরা তুমি বড়োই ফা**জিল  শই**তান

তুমি করনা মোরে ই**জ্জত  সম্মান..


তুমি মাই*য়াটা  বেশি সুবিধার না 

এই ২ দিনেই আমার জীবনটা করে দিয়েছো ত্যা"না  ত্যা"না...


ওরে ও  দ**জ্জাল  আর  ব**জ্জাত  মেয়ে.. 

সারাদিন শুধু প্যা*রা  দেও কাজ নাই  খেয়েদেয়ে.



.

.

 #চলবে........................???