সিনিয়র মেয়ে যখন আদুরে বউ পর্ব ৫
পরেরদিন সকালে ঘুম ভাঙলো সিনিয়র বৌ এর ডাকে।
আমি চোখ খুলতেই দেখি আমার বৌ আমার দিকে চায়ের কাপ এগিয়ে....
-- ওঠো আর নাও তোমার চা। (দিয়া)
আমি চোখে হাত দিয়ে হাই তুলতে তুলতে.....
-- সকালে কি শুধু চা আর অন্যকিছু পাওয়া যাবে না এর সাথে।
-- জ্বি বিস্কুট আছে, আর ব্রাশ না করলে বিস্কুট খাবে কিভাবে শুনি?
আমি হাল্কা হেসে দুষ্টামি করে...
-- কে বলেছে আমি বিস্কুট খাবো, আমি তো মিষ্টি খেতে চায়।
দিয়া এবার উঠে....
-- আচ্ছা তুমি তাহলে ব্রাশটা আগে সেরে নাও, আমি ফ্রিজ থেকে তোমার জন্য মিষ্টি আনছি।
আমি এবার দিয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে...
-- উহুহু ওই মিষ্টি যে ফ্রিজে রাখা যায় না।
-- ওমা তাহলে কোথায় পাওয়া যাবে?
-- লজ্জা করছে তোমায় বলতে?
দিয়া কিছু বুঝতে না পেরে আমার সামনে এলো...
-- লজ্জা কেন করবে?
-- আরে ধুর তুমি আমার থেকে বড়ো না তাই লজ্জা তো একটু করবেই।
-- উহহহহহহহ কাল রাতে তো বেশ ইটিসপিটিস করার ধান্দা করছিলে কই তখন তোমার এতো লজ্জা ছিলো না।
আমি লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে....
-- ধ্যাত ওটা তো রাত, রাতে অনেককিছুই হয়।
দিয়া এবার....
-- আচ্ছা বলো কি মিষ্টি খাবে তেমন হলে শপ থেকে আনাতে হবে তো।
-- আরে শপ তো আমার সামনেই আছে, শুধু একটু কাছে পেলেই হয়।
-- মানে কি? বুঝলাম না কি বলতে চাইছো?
-- আমি তোমার লিপস্টিক টেস্ট করতে চাই সিনিয়র বৌ।
সাথে সাথে দিয়া লজ্জায় লাল হয়ে গেলো আর দৌড় দিতে যাবে ঠিক তখনই আমিও দৌড় দিয়ে দরজার কাছে গিয়ে ওকে আটকে দরজার লকটা দিয়ে দিলাম।
দিয়া আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে....
-- অভ্র বাইরে যেতে দাও ব্রেকফাস্ট বানাতে হবে তো।
আমি দিয়ার দিকে এক পা এক পা এগোতে এগোতে....
-- ও তোমার আম্মু বানিয়ে নেবে।
-- না আম্মুর কষ্ট হবে অতো সব বানাতে।
-- ওহ আচ্ছা আম্মুর কষ্ট হবে না তাই না আর আমার যে কাল রাত থেকে কষ্ট হচ্ছে
দিয়া এবার গালে হাত দিয়ে....
-- কি কষ্ট হচ্ছে শুনি?
এটা বলেই ও খাটের কাছে গিয়ে আটকে গেলো।
আমি ওর কাছে গিয়ে ওর চোখের দিকে তাকিয়ে....
-- কি কষ্ট হচ্ছে শুনবা।
দিয়া ঘাড় নেড়ে....
-- হুম....
এটা বলা মাত্রই আমি ওর কোমড় ধরলাম আর সাথে সাথে দিয়া ঘাড় নেড়ে...
-- নাহহহ নাহ নাহহহহ।
আমি আরো দুষ্টামি করে ওর চোখের সামনে মাথা নেড়ে....
-- হুম হুম হুম...
-- উহুহুহু না না না না।
মেয়েটা কেমন একটা ভয় করছে বুঝতে পারছি, আমি ওর কানের কাছে একটা আঙুল নিয়ে গিয়ে ওর কানের ঝুমকোতে হাত দিলাম এবং তারপরেই ওর কান থেকে ওর ঘাড়ের কাছে আঙুল নিয়ে এসে বিলি কাটতে থাকলাম।
ভাইরে দিয়া এখন পুরাই ছটফট করছে।
আমি এবার ওর কানের কাছে আমার মুখ নিয়ে গিয়ে.....
-- তাহকে ম্যাচ স্টার্ট করি।
দিয়া লজ্জায়....
-- উহুহুহু পরে।
-- না এখনই।
-- ভয় করছে।
-- করবে না আমি তো আছি।
এটা বলেই আমি ওকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম আর ওর পিঠে হাত রাখতেই দিয়া আমার পিঠের উপরে থাকা শার্টটা খামচে টেনে ধরলো।
আমি এবার ওর কপালে একটা কিস করে ওর চিবুকে মাথা রাখলাম, দিয়া ছটফট করছে পুরাই আমার মাথার চুলগুলো টেনে ধরে আছে মনে হচ্ছে একটা একটা করে ছিঁড়ে ফেলবে।
আমি চিবুকের তলায় বারেবার কিস করেই চলেছি আর তত দিয়া উত্তেজনায় পাগলের মতো ছটফট করেই চলেছে। আমি পাগলামি দেখে হাসছি খুব। আমি এবার চিবুক থেকে মাথা বের করে.....
-- আচ্ছা বাকিটা দুপুরে হবে।
এটা বলেই আমি ওকে ছেড়ে দিলাম।
দিয়া এবার হাল্কা হেসে.....
-- ওকে।
এটা বলে দেখি আবারো আমায় খুব জোরে জড়িয়ে ধরলো আর আমার কপালে চোখে মুখে কিস করতে থাকলো অবশেষে আমার বুকে মাথা রেখে.....
-- আজ থেকে তুমি শুধু আমার। (দিয়া)
আমি এবার ফান করে....
-- উহুহু আমি কিভাবে তোমার হবো? আমি তো আমার আম্মু আব্বুর।
-- জ্বি জানি তারপরে শুধু তুমি আমার।
-- ওহ আচ্ছা একজন জুনিয়র ভাই হিসাবে
ভাইরে এটা বলার সাথে সাথে আমার কলমে ক্যাৎ করে একটা লাথি মেরে দিলো আরা আমায় ঠেলে দিয়ে....
-- কুত্তার বাচ্ছা ভাই যখন হবি তাহলে বিয়ে করেছিলি কেন?
ভাইরে দিয়া পুরাই রেগে লাল টমেটো হয়ে গেছে।
আমি আমার কলমকে ধরে সামলাচ্ছি উফফফফ আল্লাহ আমি সারা হয়ে গেলাম
আম্মু গো তোমার ছেলে হয়তো আর কোনোদিন আব্বু ডাকটা শুনতে পারবে না।
ব্রেকফাস্ট সেরে রুমে বসে আছি, দিয়া তারপর থেকে একটাও কথা বলেনি। জানি বড্ড রেগে আছে।
এখন আমার বৌ এখন কিচেনে আছে আর আমি রুমে আমার ওখানে হাত দিয়ে বসে আছি ভাইরে বেশ জোরে লেগেছে আমার শালা কেন যে ওর সাথে এমন ফাজলামি করতে গেলাম, নে শামা ভোগ অভ্র জ্বালা।
দিয়া রুমে আমি আফসোস করতে করতে....
-- বুঝলা আম্মু গো তোমার ছেলে আর কোনোদিন আব্ব ডাকটা শুনতে পারবে না গো।।আমি কিভাবে এতো পেন নিয়ে বেঁচে থাকবো। আর শাশুড়ি আম্মা আপনিও ছেড়ে দেন নানি ডাক শোনাটা
দিয়া কোনোকিছু না বলে সোজা শুয়ে পড়লো বিছানায়।
আমি সরিয়ে সোফার কাছে চলে এলাম।
আমি দিয়ার দিকে কোনোরকম না তাকিয়ে ফোন টিপছি। হঠাৎ আমার চোখ পড়লো দিয়ার ওই নাভীর তিলটার দিকে ভাইরে কি জোশ লাগতাছে, উফফফ যেন গিয়ে একটা চুমু খেয়ে আসি।
অভ্র একদম না, এবার হয়তো বল বিয়ারিংও ভেঙে দিতে পারে।
আমি নিজেকে শান্ত করে আবারো চুপচাপ বসে রইলাম কিন্তু ভাই ম্যান অলোয়েস ম্যান এসব দেখলে কখনো নিজেকে শান্ত রাখতে পারে না।
আমি এবার ওর কাছে গেলাম এবং ফ্যানের বাতাসে ওর নাভী থেকে শাড়িটা মাঝে মাঝে হাওয়াতে উড়ে যাচ্ছে।
আমি লোভ সামলাতে না পেরে ওর নাভীতে হাত দেওয়া মাত্রই দিয়া ক্ষেপে উঠল আর আমার দিকে তাকিয়ে.....
-- কি ব্যাপার?
ভাইরে আমি আজ গেছি, অভ্র কিছু ভাব নয়তো যেটা আছে সেটাও আর কিছুক্ষন পর থাকবে না, আমি আমতাআমতা করে...
-- ইয়ে ইয়ে ইয়ে ইয়ে ইয়ে ইয়ে মানে মানে মানে....
-- কি মানে হুম
-- না না না না না মানে মাছি বসেছিলো তাই তাড়াতে এসেছিলাম হিহিহি।
মনে হচ্ছে বেঁচে যাবো।
নারে ভাই দিয়া দেখি আরো রেগে....
-- পিচ্চি তুই আমায় শেখাবি, আর মাছি এসেছিলো তো কি হয়েছে সে আবার উড়ে যেতো
আমি এবার মুচকি হেসে দুষ্টু লুক দিয়ে
-- আরে দূর মাছিটা যে বড্ড পাজি, ওরকম রোমান্টিক প্লেস থেকে উঠতেই চাইবে না।
দিয়া এবার রাগী লুকে মুচকি হেসে.....
-- খুব নিজেকে বুদ্ধিমান ভাবো তাই না, আমি কি কিছু বুঝি না নাকি?
আমি এবার দিয়ার দুটো হাত ধরে....
-- উহুহু সবই যখন বোঝ তাহলে আমার এই জ্বালাটা বোঝো না আর তখনের জন্য সরি।
দিয়া এবার মুখ বাঁকিয়ে.....
-- সরিতে হবে না
-- তাহলে....
-- আমায় আদর করে ভালোবাসি বললে তারপর ভেবে দেখতে পারি
এটা বলেই দিয়া আবার বালিশে মাথা রাখলো।
আমিও ওর উপরে চেপে ওর মুখের সামনে মুখ নিয়ে এলাম, দিয়া আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে একভাবে আর হাসছে আর আমিও মিটিমিটি হেসে......
-- মনে হয় না তুমি আর কখনো আম্মু হতে পারবা?
দিয়া হাল্কা হেসে....
-- কেন কলমের কি নিব ভেঙে গেছে নাকি?
-- উহুহু বুঝতে পারছিনা তো, তুমি একটু চেক করলে ভালো হতো।
-- উহহহহ ভাগো, তোমার জিনিস তুমি বুঝবা।
-- ওহ তাই, তাহলে অন্যদের বিলিয়ে দিয়ে আসি।
দিয়া এবার মুখে হাত দিয়ে....
-- এ বাবা তোমার কষ্ট হবে না ওরকম কাটাকাটি করলে
ভাইরে আমি লজ্জা পেয়ে....
-- টপিক চেঞ্জ ইশ কি দুষ্টু তুমি!
এবার দেখি দিয়া আমার গলায় দুটো হাত রেখে.....
-- ওই আমায় এভাবে সারাজীবন হাসিখুশিতে রাখতে পারবে তো?
আমি ওর গালে হাত দিয়ে হাল্কা হেসে.....
-- সারাজীবন কিনা জানিনা তবে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত।
-- আর হ্যাঁ শোনো বেসিক করছো বলে বেশি বেড়ে যেও না, কলেজে যাবা মাথা নিচু করে, কোনো মেয়ে যদি কথা বলে সঙ্গে সঙ্গে তুমি বলবা আমি ম্যারেড।
-- আচ্ছা।
-- ওই তোমার ফোনটা দাও।
-- কেন?
-- ফেবুতে রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস দাও।
-- কেন?
-- কেন মানে তুমি জানো, তোমার ফ্রেন্ডলিস্ট তো শুধু মেয়েতে ভরা
হিহিহি এটা কিন্তু ঠিক বলসে আমার বৌ
আমি তাই হাল্কা হেসে....
-- আচ্ছা।
এবার দিয়া আমার জামার কলার ধরে.....
-- এই পিচ্চি....
-- পিচ্চি পণ্ডিত আমি.....
-- পণ্ডিত না আরো কিছু
-- দেখবা আমি সত্যিই পণ্ডিত কিনা......
-- দেখাও তাহলে....
-- ওয়েট....
এটা বলেই আমি ওর বুক থেকে শাড়ি সরিয়ে দিলাম আর সাথে সাথে দিয়া....
-- ওই রেপ করবা নাকি?
-- না তোমার আম্মু বানাবো?
-- কার আম্মু বানাবা শুনি?
-- আমাদের অনুর আম্মু।
-- হিহিহি তোমার তো কলমের নিব ভেঙে গেছে তাই না তাহলে আম্মু বানাবা কিভাবে?
-- ওয়েট দেখাচ্ছি....
এটা বলেই আমি ওর বুকের মাঝে হাত রাখতেই....
-- দিয়া মা একটু কিচেনে আয় তো, দুধ বসিয়েছি ফুটলে নামিয়ে নিস আমি বাইরে যাচ্ছি একটু।
সাথে সাথে দিয়া হেসেহেসে শাড়ির আঁচল ঠিক করে নিলো আমার হাত সরিয়ে। এবার আমার থেকে উঠে খাটের পাশে দাঁড়াতেই আমি অসহায়ের মতো.....
-- প্লিজ আসো না......
দিয়া এবার মাথা নেড়ে মুচকি হেসে......
-- উহুহু আম্মু ডাকছে
ভাইরে আমি রেগে......
-- শালা এটা শ্বশুর বাড়ি নাকি অসুর বাড়ি শান্তি নেয় এতোটুকু, কোথায় একটু বৌকে আদর করবো তা না শাশুড়ি দুধ নামাতে কিচেনে ডেকে নিলো মাইরি আর এদিকে যে আমি হাত দিয়েও নামাতে পারলাম না, না মানে শাড়িটা আর কি?
দিয়া সবটা শুনে আমার কাছে এলো মিটিমিটি হেসেহেসে আর আমার চোখের দিকে তাকিয়ে ওর গোলাপের পাঁপড়ির মতো দুটো ঠোঁট আমার সামনে নিয়ে এলো, আমি তো দেখেই পুরাই অবাক যাইহোক শান্তনা পুরস্কার তো পাবো আমিও চোখ বন্ধ করে ওর ঠোঁটের দিকে আমার ঠোঁট নিয়ে যেতেই ও আমার নাক্টা কামড়ে হাসতে লাগলো আর বলল...
-- হিহিহি তোমায় শুধু গরম করবো দুধের মতো, নিজেই ফুটবা আর অবশেষে নিজেই পরে যাবা দুধের জায়গা থেকে।
-- মানে????
-- তোমার পাঠক ভাইয়াদের কাছে জেনে নাও তারা তোমার মতো বুদ্ধু না তারা অনেক লিজেন্ড।
-- ওহ আচ্ছা তাহলে সেই লিজেন্ডগুলা কমেন্ট করে জানিয়ে দেন আমার বৌ মানে আপনাদের ভাবীর ওই কথাটার মানে কি?
দিয়া এবার হাসরে কিচেনে চলে গেলো, ভাইরে আমি যে এখন কি করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না, শালা এজন্যই বলে সুযোগ ছাড়া ইমরান হাসমি হতে নেই, নে এবার বোঝ রোমান্স না করার জ্বালা আজ নিজেকে বিধবা মনে হচ্ছে শালা বৌ থাকতেও আজ আমি বৌকে পাচ্ছি না, জাতি কি এটা মেনে নেবে?