ম্যাম যখন রোমান্টিক বউ শেষ পর্ব
এটা আবার কি।।
নাজমুল:যাবি না,, অন্য কিছু করবো।।
না ভাই থাক,চল।
ক্যান্টিনে গেলাম,, খাওয়া দাওয়া শেষ করে ক্লাসে গেলাম,,মৌ এর প্রথম ঘন্টা ক্লাস তাই এলো।। আনিকা যা প্রতিদিন করে সেটাই করলো মৌ এর কোল থেকে নেমে আমার কাছে চলে এলো।।।
আমাদের ক্লাসের একজন বললো,,,, ম্যাম শুনলাম আপনার বিয়ে হয়ে গেছে।।।
মৌ: হুম ,,,
ছেলে:ওহ্,, তো স্যার কি করেন ম্যাম??
মৌ: লেখাপড়া করে,,
ছেলে: এ্যাঁ,,,
মৌ:হুম,,যদি আমার হাজব্যান্ড কে তা দেখতে চাও তাহলে দেখো।।। একটু দাঁড়াও তো।।।
দাঁড়ালাম,, সবাই ভুত দেখার মত দেখে আছে।। এর মধ্যে কানাকানি গুজগুজ শুরু হয়ে গেছে।।
মৌ: সাইলেন্ট,,,
তাও বলাবলি করছে,,,
মৌ: সাইলেন্ট,,(ধমক দিয়ে)
সবাই চুপ,,,
মৌ:সবাই ক্লাসে মনোযোগ দাও।।
তারপর মৌ ক্লাস নিতে লাগলো,,
একে একে সব ক্লাস শেষ হলো,,,
রাতে,,,
মৌ: মামুনি আসো তোমাকে ঘুম পাড়িয়ে দি।।
আনিকা:না আব্বু দিবে।।
মৌ: ওকে তোমার আব্বুরে বলো।।
আনিকা:হু,,
আনিকা কে আমি বুকের উপর নিয়ে শুয়ে পড়লাম।।সাথে কোরআন তেলাওয়াত বাজিয়ে দিলাম ফোনে।।
কোরআন তেলাওয়াত শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়লো।। জিনিস টা আমার বেশ ভালো লাগে।।
আনিকা কে বিছানায় শুয়ে দিয়ে ল্যাপটপে নিয়ে বসলাম।। মৌ আমার পাশে বসে কাঁধে মাথা রেখে দেখতে লাগলো।।।
মৌ: আনিকা কে খুব ভালোবাস তাই না??
হুঁ,, অনেক।।
মৌ:কফি খাবা।।
এই সময়ে।।
মৌ: সবে দশটা বাজে।।
দরকার নেই এখন রান্না ঘরে যাওয়ার।।
মৌ: সমস্যা কি,,
কোন সমস্যা নেই,, এখন একটু চুপটি করে বসে থাকো ,আর আমাকে কাজ করতে দাও।।আর না হলে ঘুমিয়ে যাও।।
মৌ:না বসে বসে দেখবোক,,,,
হুঁ,, কাজ করতে করতে 11.30 প্রায় বেজে গেছে।।মৌ কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে।। ল্যাপটপ অপ করলাম।।ওরে জাগালাম না কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় রেখে দিলাম। রেখে যেই সোজা হয়ে দাঁড়াতে যাবো তখন মৌ জোরে টেন দিলো।।মৌ এর উপর পড়ে গেলাম।।
মৌ:কোই যাও ,,
কোথায় যাবো আবার ঘুমাবো।।
মৌ: না,,
তো,,,
মৌ: ইচ্ছে করছে??
কি,,
মৌ:ইয়ে,ইয়ে,,,
কি,,
মৌ: ধ্যাত,,, কিছু না।।
অভিমান করে মুখ ঘুরিয়ে নিল।। মুচকি হাসলাম মৌ মুখ ঘুরিয়ে , বাকিটা ইতিহাস ,,, গোসল করে এসে ঘুমিয়ে গেলাম ,হা হা হা হা হা।।
পাঁচ বছর পর,, এখন একটা নিজস্ব বিজনেস আছে,, আনিকা ক্লাস টু এ, আর একটা ছেলেও আছে পাঁচ বছরের, নাম আহমদ মুসা ।। আমার ছোট কম্পানিতে লোক নেওয়া হবে।। তাই আজ কয়েকজনের ইন্টারভিউ নিবো।।
এই শুনছো।।
মৌ: হুম,,,(রান্না ঘর থেকে)
আনিকা: আব্বু টাকা দাও তো আমার টাকা শেষ হয়ে গেছে।।।
কতো টাকা মামুনি।।
আনিকা: বেশি না দশহাজার দিলেই হবে।।(হেসে)
আহমদ মুসা:না আব্বু একটাকাও দিবা না,,আপু শুধু শুধু টাকা পয়সার খরচ করে।।।
আনিকা:তোরে বকবক করতে বলেছি।।।
আহমদ মুসা: আব্বু দিবা না।।।
ওহ্ তোমরা চুপ করে এভাবে ঝগড়া করো কেনো??
বলে তোমার কত টাকা লাগবে,,
আনিকা: বেশি না এক দুইশো দিলেই হবে।।
আচ্ছা এই নাও,, আনিকা আহমদ কে ভেঙছি কেটে চলে গেল,, আহমদ ও ভেঙছি কাটলো।। আমি হাসলাম
আহমদ: আব্বু আমাকে খাইয়ে দাও ??
হুম,এসো।।।
যেই আহমদ এর ঘুখের সামনে হাতটা নিয়ে গেলাম কোথা থেকে আনিকা এসে ওর মুখে খাবার নিয়ে নিলো।।।
আহমেদ:আপু তো এতো হিংসুটে কেনো ।।
আনিকা:আমি খাবো তাতে তোর সমস্যা কোথায়।।।
আর ঝগড়া না তোমরা দুজন বসো দুজন কে খাইয়ে দিচ্ছি।।
মৌ:কে দেখি মিট মিট করে হাসছে।।
হাসো কেনো
মৌ:তোমাদের কান্ড দেখে।। আমারে কিন্তু খাইয়ে দেওয়া লাগবে হুঁ।।
এসো, তুমি কেনো বাকি থাকবা।।
মৌ:হুম
খাওয়া দাওয়া শেষ করে অফিস যাওয়ার জন্য রেডি হলাম।। আনিকা তুমি তৈরি হয়েছো।।।
আনিকা: হুম আব্বু আমি রেডি।।।
ম্যাম তুমি থাকো আমরা গেলাম।।
যাও,, মৌ কে আর জব করতে দেয় না,, বাসায় থাকে।। আমি আনিকা আহমদ বের হয়ে গেলাম ,,, আনিকা কে ওর স্কুলের সামনে নামিয়ে দিয়ে অফিস চলে এলাম।।
দাশটার সময় ইন্টারভিউ শুরু,আর সময় হয়ে গেছে ম্যানেজার আসলো স্যার আসসালামুয়ালাইকুম আস্তে পারি।।
অয়ালাইকুম আসসালাম, ইয়েস।।
ম্যানেজার: যাদের ইন্টার ভিউ নেওয়ার কথা আছে তারা সবাই চলে আসছে।।
তাদের একে একে পাঠাও ,, আর কয়জন আছে?
ম্যানেজার:জি স্যার।। পাঁচ জন স্যার।।
ওকে,
ম্যানেজার চলে গেল,, আহমেদ আমার পাশে বসে আছে বসে বসে কার্টুন দেখছে আর হাসছে,, আনিকার মতোই আমাকে ছাড়া কিছু বুঝেই না।।। একে একে চারজন এর ইন্টারভিউ নিলাম ,, তার বেশ ভালোই ,,
মেয়ে: আস্তে পারি স্যার।।
কন্ঠে টা বেশ পরিচিত লাগলো মনে হচ্ছে অনেক দিন আগে শুনেছি কোথাও।।
মাথা তুলে দেখলাম কিন্তু মেয়েটা মুখোশ পরে আছে।।
দেখলাম মেয়েটির চোখে পানি ছলছল করছে।।।
কান্না করেন কেনো,, কোন কথা বলছে না এবার কেঁদেই দিলো।।
আরে আজব তো কান্না করছেন কেনো ,, কান্না থামান।।।
মেয়ে: ভাইয়া,,
বলে একটু জোরে কেঁদে দিল।।
বুকের ভেতর কেপে উঠল,,, আহমদ এদিকে তাকালো।।
উঠে দাঁড়ালাম ,, হঠাৎ মেয়েটি নিচে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেলো।।
এ কোন ঝামেলায় পড়লাম রে,,
ম্যানেজার ম্যানেজার বলে ডাকতে লাগলাম ,,,
ম্যানেজার আসলো,,
ম্যানেজার:কি হয়েছে স্যার?
হঠাৎ মেয়েটি জ্ঞান হারিয়ে ফেললো তাড়াতাড়ি ডাক্তার কে ডেকে নিয়ে এসো।।
ম্যানেজার:জি স্যার,,
ম্যানেজার চলে গেল,, পাশেই ক্লিনিক আছে,, ওখানে গেলো।।।
মেয়েটা কে কোলে তুলে নিয়ে আমার কেবিন সোফা আছে সেখানে শুয়ে দিলাম।।
আহমদ এর দিকে তাকালাম দেখি ও অনেক ভয় পেয়ে গেছে।।
কি হলো বাবা কিছু হয়নি,,, আহমদ কে কোলে নিলাম।। ডাক্তার এলো
দেখতে লাগলো দেখে বললো,
ডাক্তার: কিছু না খাওয়া জন্য এমন হয়েছে ,,মনে হচ্ছে দুদিন থেকে কিছু খাইনি।।শরীর দুর্বল তাই এমন হয়েছে।।।আর কিছুক্ষণ মধ্যে জ্ঞান ফিরবে।।ভয়ের কোন দরকার নেই।।
ডাক্তার চলে গেল,, একটা জিনিস ভাবাচ্ছে আমাকে ভাইয়া বলে ডাকলো কেনো এটা কি তিশা,, মুখোশ খুলে কি দেখবো।।না থাক যদি অন্য কেউ হয়।। অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন মেয়েটার জ্ঞান ফিরবে।। কিছুক্ষণ এর মধ্যে জ্ঞান ফিরলো।। মেয়েটা উঠে আমাকে জড়ায়ে ধরে কাঁদতে লাগলো,,কে আপনি এভাবে জড়িয়ে ধরলেন যে।।
মেয়ে: ভাইয়া আমি তিশা।(কাঁদতে কাঁদতে)
বুকের ভেতর আবার মোচড় দিয়ে উঠলো,,আমি শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম,, কেমন আছিস রে।।। আমি ও কেঁদে দিলাম।।
তিশা: ভালো না ভাইয়া,,,(কাঁদতে কাঁদতে)
কি হয়েছে?(কেঁদে কেঁদে)
তিশা:আব্বু আম্মু আর বেঁচে নেই,,(কেঁদে কেঁদে)
কি বলছিস,,(কেঁদে কেঁদে)
তিশা:হুম,,, এ্যাকসিডেন্ট করেছিল এক মাস আগে আর তখনই বলে আরো জোরে কেঁদে দিল।(কেঁদে কেঁদে)
কান্না থামছে না,,
তিশা: তোর কাছে ক্ষমা চাইতে পারলো না রে,,তোকে অনেক খুঁজেছি সবাই কিন্তু কোথাও পাইনি।।।(কেঁদে কেঁদে)
কি বলছিস,,(কেঁদে কেঁদে)
তিশা:হুম রে(কেঁদে কেঁদে)
পরে অনেকের কাছে জানতে পেরেছিলো যে সত্যি সত্যি ওখানে একটা বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনেছিল। আর তুই সে বাচ্চা টাকে নিয়ে গিয়েছিলি।আর আব্বু তোকে ভুল বুঝে তাড়িয়ে দিয়েছিলো।।
আব্বু আম্মু বা তোর উপর কোন রাগ নেই,,আর কান্না থামা ।। সেদিন যদি বাসা থেকে না বের করে দিতো তাহলে হয়তো ভালো মানুষের মতো মানুষ হতে পারতাম না ও ভাবে হয়ে থাকতাম। কিন্তু আমি এমন হতভাগা শেষ বারের মত আব্বু আম্মু কে দেখতে পেলাম না নিজের পিতা মাতার দাফন করতে পারলাম না।।তার হয়তো অনেক কষ্ট পেয়েছে রে তাদের কখনো খুশি করতে পারি নাই সবসময় কষ্ট দিয়েছি (কেঁদে কেঁদে)
তিশা:ভাইয়া কান্না থামা।
হুঁ,, বুঝতে পারলাম আরাক জন কেউ কান্না করছে।।ঘুরে দেখি আহমদ ।।
উঠে গিয়ে কোলে নিলাম,, কান্না করছ কেন?
কেঁদেই যাচ্ছে।। কান্না থামাও বলছি।।।
আহমদ: হুম,,
ব্যাগ থেকে টিফিন বক্স বের করে তিশার কাছে গেলাম।।এই নে খা তারপর কথা হবে ।।জনি কিছু খাসনি।।
তিশা: হুম,,
খাচ্ছে আর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।।
কান্না করছিস কেন?
তিশা: এমনি,,,
বল কান্না করছিস কেন?
তিশা:তিন দিন থেকে কিছু খাইনি,, শুধু পানি খেয়ে থেকেছি।।
আমার চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গেল।।
তিশা খাওয়া দাওয়া শেষ করলো।।
চল আমার বাসায়।।
তিশা: হুম,,
তিশা এটা আমার ছেলে আহমদ মুসা।।
তিশা: ওহ্, তোর মতো হয়েছে?
হুম,,,
ম্যানেজার কে বলে বাসায় চলে আসলাম আর এটা বলে এলাম যে ওদের যেন আগামী কাল আসে।।
কলিং বেলে দুই তিন বার চাপ দিতে মৌ দরজা খুলে দিল।।।
মৌ আমাকে দেখে অবাক হলো,,আর পাশে একটা মেয়েকে দেখে আরো অবাক হয়েছে।।
মৌ:কে এটা?
ভিতরে চলো বলছি।।
মৌ:হুম ,,
তিশা বস এখানে ,,
তিশা:হুম,,
এবার তোর মুখোশ টা খোল তোরে অনেক দিন ভালো করে দেখি নাই।।
তিশা ওর স্কাপ খসালো ।। অনেক শুকিয়ে গেছে,, আগের থেকে অনেক সুন্দর ও হয়েছে।।
মৌ এটা আমার বোন তিশা।।।আর তিশা ওটা তোর ভাবি মৌ।।
মৌ:এটা তিশা।।
হুম,,,
তিশা: ভাইয়া ঔ মেয়েটা নেই।।
হুঁ আছে তো,, স্কুলে গেছে।।
তিশা:ও,,
হুম,, এবার বল তুই এখানে কি ভাবে এলি ,,
তিশা: হুম,,
আব্বু আম্মু মারা যাওয়ার কিছু দিন পর রাইয়ান আংকেল পুরো বিজনেস বাড়ি ঘর নিজের নিয়ে নিয়েছে।।
মৌ: কিইইই আব্বু আম্মু মারা গেছেন কিভাবে কি হয়েছে।।
পরে বলছি,, তিশা তুই বল।।
তারপর আমাকে বলছে যদি ওর মাতাল ছেলেকে বিয়ে করি তাহলে থাকতে দিবে না হলে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে হবে।। আমি রাজি হয়নি বাসা থেকে বের হয়ে আসি তারপর এক বান্ধবীর বাসায় থাকি ।। অনেক জায়গায় চাকরির জন্য গেছি ততো জায়গায় রাইয়ান আংকেল বাঁধা হয়ে গেছে।।আর ওর মাতাল ছেলেকে আমার পিছনে লেলিয়ে দিয়েছিলো।।
আমি ওখানে থাকতে পারছিলাম না,,আর আমার বান্ধবীদের বোঝা হয়ে থাকতে পারছিলাম না।। বান্ধবীর কাছে থেকে কিছু টাকা নিয়ে রাজশাহী ছেড়ে ঢাকায় আস্তে বাধ্য হয়।। কিন্তু ঢাকা এসে পড়ি আরেক ঝামেলায় মোবাইল আর টাকা চোরেচুরি করে নেয়।। তিনদিন থেকে চাকরি বা কাজ খুঁজছি বাট হয়না কেউ টাকা চাইতো কেউ কু প্রস্তাব দেয়।। এটা যদি চাকরি না পেতাম তাহলে আমি সুইসাইড এর পথ বেছে নিতাম।। বলে কাঁদতে লাগলো।। আমার চোখে দিয়ে পানি পড়তে লাগল,,মৌ ও কাঁদছে।।
কিছুক্ষণ নিরবতা বিরাজ করলো।। তারপর বললাম ঐ রাইয়ান আংকেল কে তো ছাড়বো না।। ও যেমন লোক নিশ্চিত আব্বু আম্মুর এ্যাকসিডেন্টের পেছনে ওর হাত ছিল।।
তিশা: দরকার নেই ভাইয়া।।ওকে ওর মতো থাকতে দাও কেনো আর সুখের সংসার কে নষ্ট করতে চাইছো।।
ওরে তো আমি ছাড়ছি না,,ওরে যদি পথে না বসিয়েছি তাহলে আমার নাম আলিম না।।(রেগে)
বেস কিছু দিন পর নাজমুল এর সাথে ভিডিও কলে কথা বলছিলাম নাজমুল আবার রাজশাহী বিভাগে মানে আমাদের জেলায় পুলিশের চাকরি করে মানে ওই থানার ওসি- নাজমুল বললো দোস্ত তোর কাছ হয়ে গেছে যার কথা বলছিলি সে এখন পথের ভিখারি।।আর তোর সন্ধে হতেই তোর বাবার মায়ের এ্যাকসিডেন্ট এর পিছনে ওদের হাত ছিলো।। তাই ওদের বাপ ছেলেকে লকাপে ভরে রেখেছি।।
ম্যাম কোথায় রে?
আমার পাশে বসে আছে,,
মৌ:আমি কিন্তু এখন আর ম্যাম নেই।।
নাজমুল তোমার বোন না মানে তোমার পিচ্চি মামাতো বোন কোথায়।।
বেচারা একটু লজ্জা পেল।।। বিয়ের দিন তাও নাজমুল কে ওর বউ ভাইয়া বলছিলো।।। হা হা হা হা হা
তিশা এখন মাস্টার্স কোর্স করছে….
………….,......সমাপ্ত………..…….…….